Thursday, November 22, 2007

নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে

১৭ই নভেম্বরের EPW-র সম্পাদকীয় প্রবন্ধটা তুলে দিচ্ছি। অনেক প্রশ্ন আছে যার উত্তর আমিও খুঁজি। কট্টরপন্থী সিপিআইএম সমর্থকদের সামনে এই প্রশ্নগুলো তোলায় আমি এখন "ওদের" দলে।

Mocking Democracy

The cpi(m) and the West Bengal government are guilty of perpetrating mob violence in Nandigram.

Neither the Bharatiya Janata Party (BJP) nor the Congress lay much store by democratic practices in their day to day functioning. It is the Communist Party of India (Marxist) – CPI(M) – that has been until now the only all-India political party that has, by and large, adhered to democratic procedures and processes. However, the actions of its cadre in Nandigram in East Medinapur district of West Bengal in the past week, with the acquiescence and silent encouragement of the state govern ment, have at one stroke destroyed much of this reputation.

The well-planned “recapture” of Nandigram from anti-land acquisition forces by hundreds of well-armed cadre has made a mockery of all the basic norms of democracy. The situation in Nandigram was, to be sure, extremely complex and did not admit of easy resolution. But what does it say of a party and its government that mobs of cadre are allowed to go on a spree terrorising and occupying villages controlled by their opponents while the administration and police stand aside?

The state government was admittedly in a bind with the Bhumi Uchhed Pratirodh Committee (BUPC) continuing to barricade the area and effectively ruling it out of bounds to the administration. Worse, the hundreds of families of CPI(M) sympathisers forced out in March surely had as much of a right to their homes as the protesters. The unearthing of arms subsequent to the CPI(M) operation indicates that there were elements in Nandigram preparing for another tragedy. But none of this justifies in any way the state government’s silent connivance in the CPI(M)’s “recapture” of Nandigram. The much publicised request for central government police forces, which when they did arrive, were, according to newspaper reports, slowed on the roads by CPI(M) supporters in order to allow the “operation” to be completed, is cynical politics at its worst. (The claim that Maoists were inciting the villagers of Nandigram surely cannot be given serious consideration, even if there may have been a few Naxalite supporters in the area.)

The statement by the CPI(M)-dominated Left Front regime in West Bengal that the police was not sent for fear of a repeat of the incident of March 14, when over a dozen people were killed in a similar operation, begs the question – why have an elected government and police forces of any kind at all if they cannot ensure a fair hand for all citizens? The reason for the recurrence of violence on such a scale in Nandigram, barely seven months after the killings in mid-March, lies in the state government’s failure to address the issue of delivering justice to the victims of the earlier incident. Despite the well-documented human rights violations that occurred on that day, no police officers were transferred from their posts, none of those accused of rape and murder charged or arrested, and worse still, not a single minister or even state level leader of the ruling party chose to visit the affected people to assure them of their welfare. The list of institutions that failed to perform their functions is a long one: the Calcutta High Court that waited until November 16, five months after hearings were completed on a writ petition on the March violence, to deliver its judgment and the National Human Rights Commission and the National Women’s Commission, neither of which took serious cognisance of reports of human rights violations and rape. The much delayed announcement of compensation to families of the people killed in the March violence, made on the eve of the latest CPI(M) assault, only served to highlight the cynical way in which such basic humanitarian gestures are being manipulated by the ruling regime.

The opposition has to take more than its share of responsibility for the tragedy. There is no doubt that the BUPC leadership, parti cularly Mamata Banerjee’s Trinamool Congress, which has come to dominate the multiparty coalition, has been equally cynical in its manipulation of a genuine peasant struggle for its own narrow aims of grabbing power. The forcing out of several hundred families of CPI(M) supporters from their homes in Nandigram during the initial phase of the entire agitation, for example, was already indicative of the Trinamool’s thuggish inclinations. The several attempts of the state government to broker peace in Nandigram also failed because of the Trinamool’s dubious quest, with an eye on next year’s panchayat elections, for direct physical control over villages that were a left bastion for decades.

The battle between the BUPC and the CPI(M) in Nandigram has today gone well beyond the original struggle of small farmers fighting to protect their land from forced acquisition by the state for a special economic zone project. But the question remains as to why the CPI(M), which claims to be left and progressive, has failed to challenge the dominant political culture and instead ended up offering a lesson or two to its rivals in the use of criminal means to further political interests. The statement of the chief minister, Buddhadeb Bhattacharya on November 13 that, “the opposition have been paid back in their own coin” only serves to sadly confirm that the authoritarian rot goes to the highest levels of the party.

The Congress and BJP are regularly implicated in mob violence; not so the CPI(M) until now though it has been increasingly accused of exercising party rule in administration in West Bengal. The Nandigram tragedy has changed per ceptions. The behaviour of the party cadre and the attitude of senior functionaries does not augur well for the future of democratic functioning in India, fragile as it is in so many ways.


ইকনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলিকে অভিনন্দন সঠিক প্রশ্নগুলো তুলে ধরার জন্যে।

Monday, October 15, 2007

একটা রহস্য গল্প, বা গল্প নয়

আমি কখনো পোর্তুগাল যাই নি৷ আমার কোন পোর্তুগীজ বন্ধু নেই৷ পোর্তুগীজ বলতে চিনি শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আর জোসে মোরিনহোকে৷ পোর্তুগীজ খাবার বলতে "নন্দুজ"-এর মুরগী ভাজা ছাড়া আর কিছু খাই নি৷ আমি পোর্তুগীজ ভাষার অ-আ-ক-খ - মানে তার পোর্তুগীজ ইকুইভ্যালেন্ট কি জানি না৷ কিন্তু আমি arguido মানে জানি৷ শুধু আমি নই, গোটা যুক্তরাজ্যের মানুষ যাঁরা খবরের কাগজ পড়েন, টিভি দেখেন, গুজব শোনেন, তাঁরা জানেন৷ এবং সম্ভবত গোটা দুনিয়ার এক বিরাট সংখ্যক মানুষ যাঁদের হাতের কাছে আন্তর্জাল আছে, তাঁরা জানেন৷ শুধু জানেন না, ন্যাচারাল পোর্তুগীজ অ্যাকসেন্টে কথাটা বলতেও পারেন - পাবে বা রেস্তোরাঁতে ওয়েটারকে ধন্যবাদ জানাতে ছোট্ট করে "ওব্রিগাদো" বলতে না পারলেও - আমার কথা নয় - দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টে ম্যাথু নর্ম্যানের কথা৷

শুরুর কথাটা বলে নেওয়া দরকার৷

৩রা মে, ২০০৭ - পোর্তুগালের প্রায়া দ্য ল্যুজ রিসর্ট থেকে হারিয়ে যায় চার বছরের ম্যাডেলিন ম্যাক্কান৷ ম্যাডির বাবা-মা - জেরি আর কেট - দুজনেই লেস্টারশায়ারে ডাক্তারি করেন - কেট একজন জিপি, জেরি হার্ট স্পেশ্যালিস্ট - তখন রিসর্টের কাছে একটি ট্যাপাস বারে রাতের খাওয়া সারছিলেন বন্ধুবান্ধবের সাথে৷ রিসর্টে ম্যাডি আর ম্যাডির ছোট ভাইবোন ঘুমোচ্ছিলো৷ কেট, জেরি এবং কয়েকজন বন্ধু পালা করে দেখে আসছিলেন যে বাচ্চাগুলো ঠিক আছে কি না৷ ন'টা নাগাদ জেরি দেখে আসেন৷ সাড়ে ন'টায় ম্যাথু ওল্ডফিল্ড ঘরের বাইরে কান পেতে শুনে আসেন৷ রাত্তির দশটায় কেট দেখতে যান, এবং আতঙ্কিত অবস্থায় চেঁচাতে চেঁচাতে দৌড়ে আসেন - "ওরা ওকে নিয়ে গেছে, ওরা ওকে নিয়ে গেছে৷" ম্যাডির প্রিয় সফট টয় "কাড্ল ক্যাট" - যেটা নিয়ে সে ঘুমতো, যেটা এর পরের কয়েকদিনের মধ্যে বিখ্যাত হয়ে ওঠে - পড়ে আছে বিছানার এক কোণে৷ ম্যাক্কানরা বলেন রিসর্টের একতলার কোন জানলা দিয়ে কেউ নিশ্চয় ঢুকেছিলো, মার্ক ওয়ার্নার হলিডে গ্রুপ জানায় "ফোর্সড এনট্রি"-র কোন লক্ষণ নেই৷ ম্যাক্কান পরিবারের এক বন্ধু - জেন ট্যানার - একটু দেরীতে ডিনারে এসেছিলেন - তিনি জানান রাত সওয়া ন'টা নাগাদ তিনি কাউকে দেখেছিলেন - রিসর্টের কাছাকাছি - একটা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে যেতে - কিন্তু তখন কোন সন্দেহ হয়নি তাঁর৷ আশেপাশের অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা এক মহিলা জানান যে তিনি কোন এক রাতে ম্যাডিকে তার বাবা-মায়ের জন্যে কাঁদতে শুনেছেন, কিন্তু সঠিকভাবে তারিখ বলতে পারেননি৷

পোর্তুগীজ পুলিশ তল্লাশি শুরু করে - দিনের পর দিন গোটা অঞ্চল খুঁজেও হদিশ মেলে না৷ পোর্তুগীজ আইন অনুযায়ী সেখানকার পুলিশকে অনুসন্ধান চলাকালীন গোপনীয়তা বজায় রাখতে হয়, কাজেই পুলিশের কাছ থেকে মিডিয়া কোন খবর পায় না৷ ওদিকে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ প্রথমে রবার্ট মুরাট নামে এক ব্রিটিশ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে - ভদ্রলোক ঐ অঞ্চলেই থাকেন - ব্রিটিশ অরিজিন হলেও এখন পোর্তুগালের বাসিন্দা - তাঁকে পুলিশের মনে হয়েছিলো "ওভার-এন্থুসিয়াস্টিক" - মুরাটের বক্তব্য তিনি কেট এবং জেরিকে সাহায্য করছিলেন পুলিশের সাথে কথোপকথনে - ঐ অঞ্চলের বাসিন্দা হিসেবে, এবং ইংরিজী-পোর্তুগীজ দুটৈ জানার সুবাদে৷

টিভি-রেডিও-ইন্টারনেটে অ্যাপীল হয় - দেশে-বিদেশে ম্যাডিকে দেখা যেতে থাকে - কখনো স্পেনে, কখনো মরক্কোয়৷৷৷ কিন্তু মেয়েটার খোঁজ পাওয়া যায় না৷ দিন যায় - সপ্তাহ, মাস৷৷৷ অ্যাপীলের পরিধি ক্রমশ: বাড়ে - আরো বিখ্যাত ব্যক্তিরা নামেন - ডেভিড বেকহ্যাম, রিয়াল মাদ্রিদের অন্যান্য তারকারা টিভিতে অ্যাপীল করেন৷ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের কিছু খেলার আগে খেলোয়াড়দের গায়ে "ব্রিং ম্যাডি হোম" সম্বলিত টিশার্ট দেখা যায়৷ ফাইণ্ডম্যাডেলিন বলে ওয়েব সাইট তৈরী হয়, ফাণ্ড রেইজিং চলে৷৷৷ কেট এবং জেরি ব্লগ লেখেন৷৷৷ এই অবিশ্বাস্য PR ক্যামপেন পীকে ওঠে যখন কেট এবং জেরি পোপের সঙ্গে দেখা করেন - ম্যাডির ছবিতে হাত রেখে পোপ বেনেডিক্ট বলেন যে তিনি ম্যাডির জন্য প্রার্থনা করবেন৷

শুরুর পরের কথা - দিন কাটে, ম্যাডির "সাইটিং" চলতেই থাকে বিভিন্ন দেশে, কিন্তু ম্যাডি নিখোঁজই থাকে৷ পোর্তুগীজ পুলিশ ব্রিটিশ ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের সাহায্য নেয় - ব্রিটিশ পুলিশ সাথে শিক্ষিত কুকুর নিয়ে প্রায়া দ্য ল্যুজে পৌঁছয় তদন্তের জন্যে৷ বার্মিংহ্যামের ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা শুরু হয়৷ তদন্তে কি হচ্ছে কেউ জানতে পারে না - অথচ খবর তো চাই - মিডিয়া প্রায়া দ্য ল্যুজে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকে - খবরের আশায়৷ ম্যাক্কানরা কি করছেন, কোন চার্চে যাচ্ছেন সেগুলৈ ট্যাবলয়েডে জায়গা পেতে থাকে৷ এবং আস্তে আস্তে এর মধ্যে জায়গা করে নেয় গসিপ৷ কিছু পোর্তুগীজ মিডিয়ার কল্যাণে, কিছু এদেশীয় ডেইলি মেইল বা ডেইলি মিরর জাতীয়দের কল্যাণে৷

ফরেনসিক পরীক্ষার পুঙ্খানুপুঙ্খ রেজাল্ট জানা না গেলেও আকারে ইঙ্গিতে বেশ কিছু "ডিস্টার্বিং" খবর বেরোতে শুরু করে৷ দুটি কুকুরের মধ্যে একটি - যেটি রক্ত এবং "বডি ফ্লুইড"-এর গন্ধ পায় - সেটি ম্যাক্কান পরিবারের ভাড়া করা রেনো সীনিকের বুটের সামনে অতিরিক্ত অ্যাক্টিভ হয়ে ওঠে৷ আরেকটি, যেটি মৃতদেহের গন্ধ চিনতে পারে, সেটি কেট ম্যাক্কানের শরীরে গন্ধ পায় বলে জানা যায়৷ সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল এই রেনো সীনিকটি ম্যাক্কান পরিবার ভাড়া করেন ম্যাডেলিন হারিয়ে যাওয়ার পঁচিশদিন পর৷ এই সমস্ত মেটিরিয়াল পরীক্ষা হয় বার্মিংহ্যামে, পুরো ফলাফল পোর্তুগীজ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ ব্রিটিশ মিডিয়ায় কেট ম্যাক্কান আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে পুলিশ কেট এবং জেরিকে ফাঁসাতে চাইছে৷ দিন দুয়েকের মধ্যে পোর্তুগীজ পুলিশ কেটকে দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করে - প্রায় দশ ঘন্টা ধরে - শেষে অফিসিয়ালি কেট এবং জেরিকে "arguido" - অর্থাৎ "অফিসিয়াল সাসপেক্ট" হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ "arguido"- যে শব্দটার কথা লিখেছিলাম শুরুতেই৷

২২১বি বেকার স্ট্রীট তো এদেশেই৷ কাজেই টিভির পর্দায় খবর শুনে আর ট্যাবলয়েডের প্রথম পাতায় লেখা পড়ে দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের মধ্যের সুপ্ত শার্লক হোমস জেগে ওঠে৷ ধোঁয়া দেয় ট্যাবলয়েড৷ সিডেটিভের ওভারডোজ, বেশি ডোজের ক্যালপল - ইত্যাদি নানারকম হেডলাইন দেখেছি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের প্রথম পাতায় - সকলের খবরই নির্ভরযোগ্য সুত্রে পাওয়া৷ কেট ম্যাক্কানের ডায়েরী একটা বহুচর্চিত বিষয় হয়ে ওঠে - কেট সেখানে ম্যাডেলিনকে নিয়ে নানা রকম সমস্যার কথা নাকি লিখেছেন - লিখেছেন তিনি একা ম্যাডেলিনকে সামলাতেন, ম্যাডেলিন অনেক সময়েই কথা শুনতো না, ঘরের কাজে জেরি বিন্দুমাত্র সাহায্য করতেন না - ইত্যাদি৷ সেনসেশন তৈরীতে পিছিয়ে থাকা সম্ভব নয় - সেনসেশনই কাগজের বিক্রী বাড়ায় - একদিন নিউজএজেন্টের তাকগুলো ছেয়ে গেলো "ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড"-এর বিশাল সাইজের হেডিংএ - "Police Framing Maddy Mother"- জনৈক লিওনার্ডো সিলভা পোর্তুগীজ পুলিশের হাতে তাঁর স্ত্রীর হ্যারাসমেন্টের কথা বলেছেন - ওঁর স্ত্রীকে নাকি তাঁদের মেয়েদের খুন করার অভিযোগে জেলে পাঠানো হয়েছে - এবং সেই একই ডিটেকটিভ ম্যাডেলিনের কেসেও তদন্ত করছেন৷ লিওনার্ডোর বক্তব্য ওঁর স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করে তাঁকে দিয়ে স্বীকারোক্তি বানানো হয়েছিলো, ওঁর ভয় কেট ম্যাক্কানের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে৷ আরো খবর বেরোয়৷ পোর্তুগীজ পুলিশকে ভিলেন বানিয়ে, ম্যাক্কানদের ভিলেন বানিয়ে, ফরেনসিক সায়েন্সকে ভিলেন বানিয়ে - রাতারাতি গোটা যুক্তরাজ্যের লোকে পোর্তুগীজ আইন এবং ফরেনসিক সায়েন্সে এক্সপার্ট হয়ে ওঠে৷ খবর বেরোতে থাকে৷ ম্যাক্কানরা পোর্তুগাল ছেড়ে লেস্টারে ফিরে আসেন৷ PR ক্যাম্পেন চালু থাকে - প্রাক্তন বিবিসি রিপোর্টার ক্ল্যারেন্স মিচেল ম্যাক্কানদের অফিসিয়াল স্পোকসম্যান হিসেবে কাজ শুরু করেন - ফরেন অফিসের চাকরি ছেড়ে৷ ভার্জিন মিডিয়ার বস স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন থেকে শুরু করে আরো কিছু নামকরা লোক ম্যাডেলিন ক্যাম্পেনের পিছনে দাঁড়ান৷

ম্যাডেলিনকে এখনো পাওয়া যায়নি৷ পোর্তুগীজ পুলিশ সমস্ত ডকুমেন্ট তুলে দিয়েছিলো এক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নীর হাতে, সেখান থেকে সব পৌঁছয় এক জাজের হাতে - কেট এবং জেরিকে চার্জশীট দেওয়া হবে কিনা - তার জন্যে৷ জাজের সিদ্ধান্তে এই মুহুর্তে চার্জশীট দেওয়া হয় না, তদন্ত চলতে থাকে৷ ম্যাডেলিন নিখোঁজ আজ ১৬১ দিন৷

=========================================================

হয়তো কোনদিনই মেয়েটাকে পাওয়া যাবে না৷ হয়তো বা সেই অন্য মেয়েটার মতন বেশ কিছু বছর বাদে ফিরে আসবে সে৷ হয়তো ম্যাডেলিন মারাই গেছে - হয়তো সিডেটিভের ওভারডোজেই - বা হয়তো কোথাও লুকিয়ে থাকা কোন পিডোফাইল তুলে নিয়ে গেছে৷৷৷কি হল ম্যাডেলিনের তা হয়তো জানা যাবে না - হয়তো যাবে৷ কিন্তু ট্যাবলয়েডে বেরনো কোন খবরই আর অতটা চাঞ্চল্যকর নয় যতটা চাঞ্চল্যকর আর ডিস্টার্বিং এই গোটা ঘটনায় ট্যাবলয়েড মিডিয়ার রিয়্যাকশন বা ব্রিটিশ পাবলিকের গণহিস্টিরিয়া৷ এব ংআমার অনভ্যস্ত চোখে এই অবিশ্বাস্য বড়মাপের PR ক্যামপেন৷৷৷ বেকহ্যাম, জিদান, রাউলের মতন ফুটবল দুনিয়ার মহাতারকারা, স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, স্বয়ং পোপ বেনেডিক্ট৷৷৷

দশই অক্টোবর ২০০৭-এর খবর - প্রতি বছর প্রায় লাখ খানেক হারিয়ে যাওয়া বাচ্চার ছবি যুক্তরাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল সেন্টার, জিপি ক্লিনিক, সার্জারীর ওয়েটিং রুমের টিভি স্ক্রীণে দেখানো হবে৷ এরা বা এদের পরিবারের কেউই সেলিব্রিটি হয়ে উঠতে পারেনি৷ এদের কজনের জন্যেই বা বেকহ্যামের মতন তারকা অ্যাপীল করেন৷৷৷

মূল লেখা গুরুচণ্ডা৯তে।

Tuesday, August 28, 2007

The Great War for Civilisation:The Conquest of The Middle East

গুরুচণ্ডা৯তে রঙ্গন লিখতে শুরু করেন রবার্ট ফিস্কের এই বইটি নিয়ে। বিষয়টা ইন্টারেস্টিং, আমাদের জেনারেশনের দেখা সবচেয়ে বড় কনফ্লিক্ট, এবং এখন আমাদের সকলের জীবনের ওপর এর এফেক্ট রয়েছে - যে কোনদিন আমরা যে কোন জায়গায় একটা বোমার শিকার হতে পারি, বা মহম্মদ হানিফও হতে পারি - মধ্যপ্রাচ্যের এই কনফ্লিক্ট এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে এখন। আগ্রহী হয়ে নিজেও বইটা কিনে ফেলে পড়তে শুরু করেছি। সময় পেলে একটু একটু করে লিখবো।

Wednesday, June 13, 2007

Book Review - Impasse in India

I stumbled upon this review of Martha C. Nussbaum's book "The Clash Within: Democracy, Religious Violence, and India's Future" (Belknap Press/Harvard University Press, 403 pp., $29.95) by Pankaj Mishra, and this seems fascinating. This book is now on my "must read" list - although I do not know when I'll be able to do that...

Impasse in India

By Pankaj Mishra

Last summer Foreign Affairs, Time, Newsweek, and The Economist highlighted a major shift in American perceptions of India when, in cover stories that appeared almost simultaneously, they described the country as a rising economic power and a likely "strategic ally" of the United States. In 1991, India partly opened its protectionist economy to foreign trade and investment. Since then agriculture, which employs more than 60 percent of the country's population, has stagnated, but the services sector has grown as corporate demand has increased in Europe and America for India's software engineers and English-speaking back-office workers.[1] In 2006, India's economy grew at a remarkable 9.2 percent.

Dominated by modern office buildings, cafés, and gyms, and swarming with Blackberry-wielding executives of financial and software companies, parts of Indian cities such as Bangalore, Hyderabad, and Gurgaon resemble European and American downtowns. Regular elections and increasingly free markets make India appear to be a more convincing exemplar of economic globalization than China, which has adopted capitalism without embracing liberal democracy.

However, many other aspects of India today make Foreign Affairs' description of the country—"a roaring capitalist success-story"—appear a bit optimistic. More than half of the children under the age of five in India are malnourished; failed crops and debt drove more than a hundred thousand farmers to suicide in the past decade.[2] Uneven economic growth and resulting inequalities have thrown up formidable new challenges to India's democracy and political stability. A recent report in the International Herald Tribune warned:

Crime rates are rising in the major cities, a band of Maoist-inspired rebels is bombing and pillaging its way across a wide swath of central India, and violent protests against industrialization projects are popping up from coast to coast.[3]

Militant Communist movements are only the most recent instance of the political extremism that has been on the rise since the early Nineties when India began to integrate into the global economy. Until 2004 the central government as well as many state governments in India were, as the philosopher Martha Nussbaum puts it in her new book,

increasingly controlled by right-wing Hindu extremists who condone and in some cases actively support violence against minorities, especially the Muslim minority. Many seek fundamental changes in India's pluralistic democracy.

In 1992, the Hindu nationalist BJP (Indian People's Party) gave early warning of its intentions when its members demolished the sixteenth-century Babri Mosque in North India, leading to the deaths of thousands in Hindu–Muslim riots across the country. In May 1998, just two months after it came to power, the BJP broke India's self-imposed moratorium on nuclear testing by exploding five atomic bombs in the desert of Rajasthan. Pakistan responded with five nuclear tests of its own.



The starkest evidence of Hindu extremism came in late February and March 2002 in the prosperous western Indian state of Gujarat. In a region internationally famous for its business communities, Hindu mobs lynched over two thousand Muslims and left more than two hundred thousand homeless. The violence was ostensibly in retaliation for an alleged Muslim attack on a train carrying Hindu pilgrims in which a car was set on fire, killing fifty-eight people. Nussbaum, who is engaged in a passionate attempt to end "American ignorance of India's history and current situation," makes the "genocidal violence" against Muslims in Gujarat the "focal point" of her troubled reflections on democracy in India. She points to forensic evidence which indicates that the fire in the train was most likely caused by a kerosene cooking stove carried by one of the Hindu pilgrims. In any case, as Nussbaum points out, there is "copious evidence that the violent retaliation was planned by Hindu extremist organizations before the precipitating event."

Low-caste Dalits joined affluent upper-caste Hindus in killing Muslims, who in Gujarat as well as in the rest of India tend to be poor. "Approximately half of the victims," Nussbaum writes, "were women, many of whom were raped and tortured before being killed and burned. Children were killed with their parents; fetuses were ripped from the bellies of pregnant women to be tossed into the fire."

Gujarat's pro-business chief minister, Narendra Modi, an important leader of the BJP, rationalized and even encouraged the murders. The police were explicitly ordered not to stop the violence. The prime minister of India at the time, Atal Bihari Vajpayee, seemed to condone the killings when he declared that "wherever Muslims are, they don't want to live in peace." In public statements Hindu nationalists tried to make their campaign against Muslims seem part of the US-led war on terror, and, as Nussbaum writes, "the current world atmosphere, and especially the indiscriminate use of the terrorism card by the United States, have made it easier for them to use this ploy."

A widespread fear and distrust of Muslims among Gujarat's middle-class Hindus helped the BJP win the state elections held in December 2002 by a landslide. Tens of thousands of Muslims displaced by the riots still live in conditions of extreme squalor in refugee camps. Meanwhile, the Hindu extremists involved in the killings of Muslims move freely. Though denied a visa to the US by the State Department, Narendra Modi continues to be courted by India's biggest businessmen, who are attracted by the low taxes, high profits, and flexible labor laws offered by Gujarat.[4]


Describing the BJP's quest for a culturally homogeneous Hindu nation-state, Nussbaum wishes to introduce her Western readers to "a complex and chilling case of religious violence that does not fit some common stereotypes about the sources of religious violence in today's world." Nussbaum claims that "most Americans are still inclined to believe that religious extremism in the developing world is entirely a Muslim matter." She hints that at least part of this myopia must be blamed on Samuel Huntington's hugely influential "clash of civilizations" argument, which led many to believe that the world is "currently polarized between a Muslim monolith, bent on violence, and the democratic cultures of Europe and North America."

Nussbaum points out that India, a democracy with the third-largest Muslim population in the world, doesn't fit Huntington's theory of a clash between civilizations. The real clash exists

within virtually all modern nations —between people who are prepared to live with others who are different, on terms of equal respect, and those who seek the... domination of a single religious and ethnic tradition.

She describes how Indian voters angered by the BJP's pro-rich economic policies and anti-Muslim violence voted it out of power in general elections in 2004. Detailing the general Indian revulsion against the violence in Gujarat and the search for justice by its victims, she highlights the "ability of well-informed citizens to turn against religious nationalism and to rally behind the values of pluralism and equality." Insisting on the practical utility of philosophy, Nussbaum has often attacked the theory-driven feminism of American academia. "India's women's movement," she claims, "has a great deal to teach America's rather academicized women's movement." She is convinced that from India "we Americans can learn a good deal about democracy and its future as we try to act responsibly in a dangerous world."

Nussbaum thus casts India's experience of democracy in an unfamiliar role: as a source of important lessons for Americans. Such brisk overturning of conventional perspective has distinguished Nussbaum's varied writings, which move easily from the ideas of Stoic philosophers to international development. Few contemporary philosophers in the West have reckoned with India's complex experience of democracy; and even fewer have engaged with it as vigorously as she does in The Clash Within.

Nussbaum, who has frequently visited India to research how gender relations shape social justice, is particularly concerned about the situation of women in contemporary India. She sensitively explores the colonial-era laws that, upheld by the Indian constitution, discriminate against Muslim women. She describes how Gujarat, which has had economic growth but has made little progress in education and health care, became a hospitable home to Hindu nationalists. She details, too, tensions within the Indian diaspora, many of whom are Gujarati, whose richest members support the BJP. She reveals how the BJP initiated India's own culture wars by revising history textbooks, inserting in them, among other things, praise for the "achievements" of Nazism.

Her interviews with prominent right-wing Hindus yield some shrewd psychological insights, particularly into Arun Shourie, an economist and investigative journalist who, famous initially for his intrepid exposés of corruption, became a cabinet minister and close adviser to BJP prime minister Vajpayee. She suggests that the anti-Muslim views of Shourie, who is otherwise capable of intelligent commentary, may owe to "something volatile and emotionally violent in his character...something that lashes out at a perceived threat and refuses to take seriously the evidence that it might not be a threat."

In a chapter that forms the core of the book, she examines the ideas and legacies of Mohandas Gandhi, Jawaharlal Nehru, and Rabindranath Tagore, founding fathers of India's democracy. Her admiration for Tagore and Gandhi is deep. However, she offers only qualified praise for Nehru, India's resolutely rationalist first prime minister. Nussbaum laments that Nehru neglected "the cultivation of liberal religion and the emotional bases of a respectful pluralistic society"—a failure that she thinks left the opportunity wide open for the BJP's "public culture of exclusion and hate."

According to Nussbaum, Nehru may have been good at building formal institutions, but it was Gandhi who gave a spiritual and philosophical basis to democracy in India by calling "all Indians to a higher vision of themselves, getting people to perceive the dignity of each human being." She approves of Gandhi's view that only individuals who are critically conscious of their own conflicts and passions can build a real democracy. In fact, much of Nussbaum's own rather unconventional view of democracy in this book derives from the Gandhian idea of Swaraj (self-rule), in which control of one's inner life and respect for other people create self-aware and engaged rather than passive citizens. The "thesis of this book," she writes in her preface, is

the Gandhian claim that the real struggle that democracy must wage is a struggle within the individual self, between the urge to dominate and defile the other and a willingness to live respectfully on terms of compassion and equality.

However, Nussbaum's strongly felt and stimulating book deepens rather than answers the question: How did India's democracy, commonly described as the biggest in the world, become so vulnerable to religious extremism?

Ideological fanaticism stemming from personal inadequacies, such as the one Nussbaum identifies in Arun Shourie, is certainly to blame. But as Nussbaum herself outlines in her chapter on Gujarat, religious violence in India today cannot be separated from the recent dramatic changes in the country's economy and politics. The individual defects of Indian politicians only partly explain the great and probably insuperable social and economic conflicts that give India's democracy its particular momentum and anarchic vitality.

Richard Nixon once said that those who think that India is governed badly should marvel at the fact that it is governed at all. In a similar vein, the Indian historian Ramachandra Guha asks in his forthcoming book India After Gandhi, "Why is there an India at all?"[5] For centuries India was not a nation in any conventional sense of the word. Not only did it not possess the shared language, culture, and national identity that have defined many nations; it had more social and cultural variety than even the continent of Europe. At the time of independence in 1950, much of its population was very poor and largely illiterate. India's multiple languages—the Indian constitution recognizes twenty-two—and religions, together with great inequalities of caste and class, ensured a wide potential for conflict.

Given this intractable complexity, democracy in India was an extraordinarily ambitious political experiment. By declaring India a sovereign, socialist, secular, democratic republic, the makers of the Indian constitution seemed to take the idea of liberty, equality, and fraternity more seriously than even their European and American counterparts. African-Americans got voting rights only in 1870, almost a century after the framing of the American Constitution, and American women only in 1920. But all Indian adults, irrespective of their class, sex, and caste, enjoyed the right to vote from 1950, when India formally became a republic.

What was also remarkable about the Indian Republic was that it came about with a minimum of political agitation. The Indian political philosopher Pratap Bhanu Mehta points out that democracy in India came as a gift to the Indian masses from the largely middle-class and upper-caste leaders of the anti-colonial movement led by the Congress Party. It was a byproduct rather than the natural consequence of the anti-colonial movement.[6]

Modern India's founding fathers, who preferred a secular democratic system, appear to have been great political idealists and visionaries. However, they were also pragmatists, and they couldn't have failed to see how democracy, which was viewed in India as inseparable from the promise of social and economic justice, and the official ideology of secular nationalism were necessary means to contain the country's many sectarian divisions. A former prime minister of India once defined his job as "managing contradictions"; this onerous task, as much moral as political, has remained the responsibility of ruling elites in democratic India.

From the very beginning, India's leaders faced the problem of instituting a secular and democratic state before the conditions for it—an adequately large secular and egalitarian-minded citizenry, and impartial legal institutions—had been met. A secular political culture couldn't be created overnight, and in the meantime citizens with political demands could only organize themselves in overtly religious, linguistic, and ethnic communities. As the experience of Iraq most recently shows, when citizens have few opportunities of participation in political life, a concept of democracy based on elections and the rule of the majority can deepen preexisting ethnic and religious divisions.


Sectarian tensions had opened up even in the anti-colonial movement led by the Congress Party. Muslims suspicious that the secular nationalism of the Congress was a disguise for Hindu majoritarian rule demanded and eventually received a separate state, Pakistan. The promise of democracy also didn't prove sufficient in Kashmir, which has a Muslim majority and where one of Nehru's closest friends, Sheikh Abdullah, grew disillusioned with what he perceived as Hindu dominance over the province. On the whole, however, the Congress, helped greatly by the moral prestige of Gandhi and Nehru, succeeded in becoming a truly pan-Indian party in the first two decades after independence, able to appease the potentially conflicting interests of Muslims and low-caste Dalits as well as upper-caste Brahmins.

Nehru's suspicion of businessmen— shaped as much by the European distrust of capitalism between the wars as by India's forced deindustrialization by the British East India Company— committed him to state control of prices, wages, and production, and to strict limits on foreign investment and trade. These measures, which were aimed at both protecting the Indian poor from exploitation and creating India's industrial infrastructure, checked economic inequality, even if, as Nehru's critics allege, they distributed poverty more than they shared wealth.

As democratic ideals and beliefs took root among the Indian masses, the extraordinary consensus Nehru had created around his own charismatic figure and the Congress Party was always likely to fracture. Nehru's successor, Indira Gandhi, veered between populist and authoritarian measures, such as the "Emergency" she declared in 1975; but she failed to stem the decline of the Congress as a pan-Indian party. Powerful regional and caste-based politicians were no longer content to broker votes for an upper-class elite within the Congress, and wanted their own share of state power; during the Eighties many hitherto imperceptible political assertions became louder, turning into what V.S. Naipaul in a book published in 1990 termed "a million mutinies now."

The decade saw the rise of new caste- and region-based political coalitions. Fundamentally unstable, they emerged and collapsed just as quickly. In 1989, the attempt by one of these coalition governments to placate low-caste discontent through affirmative action—for example, reserving a portion of government jobs for members of these castes—angered and alienated many upper-caste and middle-class Hindus. Already disillusioned by the Congress, they turned to supporting the upper-caste-dominated BJP, which until the late Eighties had been a negligible force in Indian politics.

Hoping to replace the discredited Congress as India's ruling elite, the BJP realized that it would have to create another kind of moral and ideological authority. And so, claiming that secular nationalism was a failure, it offered Hindu nationalism, arguing that just as Europe and America, though officially secular, were rooted in Christian culture, so India should revive its traditional Hindu ethos that Muslim invaders had allegedly defiled.

Remarkably, the BJP, while doing away with one plank of Indian democracy, couldn't abandon the rhetoric of political equality. Aware that the party couldn't achieve a parliamentary majority without low-caste votes, its leaders were at pains throughout their anti-Muslim campaigns to present Hindu nationalism to low-caste Hindus as an egalitarian ideology. (The presence of Dalits in Gujarat's lynch mobs attests to their success.)

The liberalization of the economy under Congress's leadership in 1991— through such measures as eliminating tariffs and restrictions on private business—created a new constituency for the traditionally pro-business BJP: the rising middle class in urban centers. Declaring that it would restore India to its long-lost international eminence, the BJP also acquired what Nussbaum calls "a powerful and wealthy US arm": a generation of rich Indians who while living abroad seek to affirm their identities through the achievements of their ancestral land. It was largely owing to the support of the Hindu middle class—the BJP has rarely done well in rural areas—that Hindu nationalists managed, after a string of successes throughout the Nineties in provincial elections, to gain power within a coalition government in New Delhi in 1998.


Six years of the BJP's rule brought about deep shifts in Indian politics and the economy. There was accelerated economic growth, especially in information technology and business-processing services such as call centers. It was also around this time that the faith—first popularized in America and Britain during the Reagan and Thatcher years—that free markets can take over the functions of the state spread among many Indian journalists and intellectuals.

Ideology-driven globalization of the kind the BJP supported, which reduced even the government's basic responsibility for health care and education, further complicated the promise of political equality in India. The world economy had its own particular demands—for example for software engineers and back-office workers—that India could fulfill. And while the country's comparative advantage in technically adept manpower has benefited a small minority, it has excluded hundreds of millions of Indians who neither have nor can easily acquire the special skills needed to enter the country's booming services sector. Many of these Indians live in India's poorest and most populous states—Uttar Pradesh, Bihar, Jharkhand, Madhya Pradesh in the north, Orissa in the East, and Andhra Pradesh in the south. Their poor infrastructure—bad roads and erratic power supply—as well as high crime levels make them a daunting investment prospect.

Thus, even as the economy grew in urban areas, preexisting inequalities of resources, access to information, skills, and status came to be further entrenched within India. The country's prestigious engineering and management colleges now seek to set up branches outside India, but, according to a survey in 2004, only half of the paid teachers in Indian primary schools were actually teaching during official hours.[7] Europeans and Americans head to India for high-quality and inexpensive medical care while the Indian poor struggle with the most privatized health system in the world.

Nevertheless, the BJP campaigned in the 2004 elections on the slogan "India Shining." Its success was predicted by almost all of the English-language press and television. As expected, urban middle-class Hindus, who had been best-placed to embrace new opportunities in business and trade, preferred the BJP. However, the majority of Indians, who had been left behind by recent economic growth, voted against incumbent governments, unseating, among others, many strongly pro-business ruling politicians in Andhra Pradesh and Karnataka (of which Bangalore is the capital city).


In the elections of 2004, Indian Communist parties performed better than ever before. The Congress, led by Sonia Gandhi, had built its election campaign around the travails of the ordinary Indian in the age of globalization. Much to its own surprise, the party found itself in power, with Manmohan Singh, an Oxford-educated economist, as prime minister.

Singh and his Harvard-educated finance minister P. Chidambaram were among the technocrats who initiated India's economic reforms in 1991. Their second stint in power has disappointed international business periodicals such as The Economist and the Financial Times as well as much of the English-language press in India, which complains periodically that economic reform in India has more or less stalled since 2004. But given the mandate it received from the electorate, Singh's government has little choice but to appear cautious. The rise in inflation that accompanies high economic growth proved fatal for many governments in India in the previous decade, most recently in the state of Punjab where the ruling Congress lost to a coalition, prompting Sonia Gandhi to publicly ask the central government to show greater sensitivity to the plight of poor Indians.

The government's hands are already tied by rules of free trade inspired by such international institutions as the World Trade Organization (WTO). Thousands of cotton farmers in central India have killed themselves, escaping a plight that Oxfam in a report last year claimed had been worsened by their "indiscriminate and forced integration" into an "unfair global system" in which the agricultural products of heavily subsidized farmers in the US and Europe depress prices globally. Unable to persuade the United States to cut its subsidies to American farmers, the Indian commerce minister spent much of his time at the WTO's Doha Round of talks in July 2006 watching the soccer World Cup.

Unlike China, India can only go so far in creating a "business-friendly climate"—the very limited ambition of many politicians today. In China, lack of democratic accountability has helped the nominally Communist regime to give generous subsidies and tax breaks to exporters and foreign investors. The swift and largely unpublicized suppression of protesting peasants has also made it easier for real estate speculators acting in tandem with corrupt Party bosses to seize agricultural land.[8]

In India, however, the government's efforts to court businessmen are provoking a highly visible backlash from poorer Indians who feel themselves excluded from the benefits of globalization. Plans to relax India's labor laws —in other words, to import the hire-and-fire practices of American companies—have provoked strong protests from trade unions. In recent weeks, the government has been forced to reconsider its plan to set up Chinese-style Special Economic Zones for foreign companies after the project ran into violent opposition from farmers facing eviction from their lands.[9]

Such intense mass agitations in India have helped magnify the growing contradictions of economic globalization: how by fostering rapid growth in some sectors of the economy it raises expectations everywhere, but by distributing its benefits narrowly, it expands the population of the disenchanted and the frustrated, often making them vulnerable to populist politicians. At the same time the biggest beneficiaries of globalization find shelter in such aggressive ideologies as Hindu nationalism.


The feeling of hopelessness and despair, especially among landless peasants, is what has led to militant Communist movements of unprecedented vigor and scale—Prime Minister Singh recently described them as the greatest internal security threat faced by India since independence in 1947.[10] These Mao-inspired Communists, who have their own systems of tax collection and justice, now dominate large parts of central and northern India, particularly in the states of Andhra Pradesh, Jharkhand, Bihar, Chhattisgarh, and Orissa.

Their informal secessionism has its counterpart among the Indian rich. Gated communities grow in Indian cities and suburbs. The elite itself seems to have mutinied, its members retreating into exclusive enclaves where they can withdraw from the social and political complications of the country they live in. Affluent Indians are helped in this relocation—as much psychological as geographical—by the English-language press and television, which, as a report in the International Herald Tribune put it, "has concocted a world —all statistical evidence to the contrary—in which you are a minority if not fabulously rich."[11]

Nussbaum is right to say that the "level of debate and reporting in the major newspapers and at least some of the television networks is impressively high." In fact, India is one of the few countries where print newspapers and magazines, especially in regional languages, continue to flourish. But the most influential part of the Indian press not only makes little use of its freedom; it helps diminish the space for public discussion, which partly accounts for what the philosopher Pratap Mehta calls the "extraordinary non-deliberative nature of Indian politics."

On any given day, the front pages of such mainstream Indian newspapers as The Hindustan Times and the Times of India veer between celebrity-mongering—Britney Spears's new hair-style—and what appears to be "consumer nationalism"—reports on Indian tycoons, beauty queens, fashion designers, filmmakers, and other achievers in the West. Excited accounts of Tata, India's biggest private-sector company, buying the Anglo-Dutch steelmaker Corus make it seem that something like what The Economic Times, India's leading business paper, calls "The Global Indian Take-over" is underway. Largely reduced to an echo chamber, where an elite minority seems increasingly to hear mainly its own voice, the urban press is partly responsible for a new privileged generation of Indians lacking, as Nussbaum points out, any "identification with the poor."

The stultification of large parts of the Indian mass media is accompanied by the growing presence of a new kind of special interest in Indian politics: that of large corporations. Close links between businessmen and politicians have existed for a long time. But unlike in the United States, the electoral process in India was not primarily shaped by the candidates' ability to raise corporate money. Compared to the US Congress, the Indian parliament was relatively free of lobbyists for large companies. This began to change during the rule of the Hindu nationalists, who proved themselves as adept in working with big businessmen as in holding on to its older constituency of small merchants and traders. A recent opinion poll in the newsmagazine Outlook reveals that growing public distaste for politics feeds on the intimacy between politicians and businessmen.


Nussbaum terms "surreal" the "mixture of probusiness politics and violence that characterizes the BJP." But this doesn't seem so surreal if, briefly reversing Nussbaum's gaze, we look at "democracy and its future" in the United States. Many of Nussbaum's American readers would be familiar with the alliance between right-wing politics and religion, or with how powerful business elites advance their interests under the cover of ultranationalism and religious faith.

Unlike the situation in India, democracy in America has not been largely perceived as a means to social and economic egalitarianism. Nevertheless, the Democratic Party's victory in midterm elections in November 2006 suggests widespread disquiet over inequality in America, which has grown rapidly against a backdrop of corporate scandals, such as Enron and WorldCom, extravagant executive pay, dwindling pensions and health insurance, and increased outsourcing of jobs—including to India—by American companies looking for cheap labor and high profits.[12]

Examining the state of American democracy in his new book, Is Democracy Possible Here?, Ronald Dworkin asserts that "the level of indifference the nation now shows to the fate of its poor calls into question not only the justice of its fiscal policies but also their legitimacy."[13] The challenge before India's political system is not much different: how to ensure a minimum of equality in an age of globalization as international business and financial institutions deprive governments of some of their old sovereignty, empower elites with transnational loyalties, and cause ordinary citizens to grow indifferent to politics.

In a recent book, the distinguished American political scientist Robert A. Dahl offers an optimistic vision in which "an increasing awareness that the dominant culture of competitive consumerism does not lead to greater happiness gives way to a culture of citizenship that strongly encourages movement toward greater political equality among American citizens." Dahl points out that "once people have achieved a rather modest level of consumption, further increases in income and consumption no longer produce an increase in their sense of well-being or happiness."[14]

This awareness is not easily achieved in a culture of capitalism that thrives on ceaselessly promoting and multiplying desire. But it may be imperative for Indians, who, arriving late in the modern world, are confronted with the possibility that economic growth on the model of Western consumer capitalism is no longer environmentally sustainable. One billion Indians, not to mention another billion Chinese, embracing Western modes of work and consumption will cause irrevocable damage to the global environment, which is strained enough at having to provide resources for the lifestyles of a few hundred million Americans and Europeans.

Fortunately, a large majority of poor and religious Indians do not live within the modern culture of materialism; they are invulnerable to the glamour of the CEO, the investment banker, the PR executive, the copywriter, and other gurus of the West's fully organized consumer societies. Traditional attitudes toward the natural environment make Indians, like the Japanese, more disposed than Americans to pursue happiness modestly.[15] And almost six decades after his assassination, Gandhi's traditionalist emphasis on austerity and self-abnegation remains a powerful part of Indian identity.

Gandhi saw clearly how organizing human societies around endless economic growth would promote inequality and conflict within as well as between nations. He knew that for democracy to flourish, it "must learn," as Martha Nussbaum puts it, "to cultivate the inner world of human beings, equipping each citizen to contend against the passion for domination and to accept the reality, and the equality, of others."

Gandhi's ethical vision of democracy seems more persuasive as the social costs of the obsession with economic growth become intolerable. Responding to another wave of mass suicides of farmers in July 2006, Prime Minister Manmohan Singh made it clear that only a small minority in India can and will enjoy "Western standards of living and high consumption." Singh exhorted his countrymen to abandon the "wasteful" Western model of consumerism and learn from the frugal ways of Gandhi, which he claimed were a "necessity" in India.[16] The invocation of Gandhi by a Western-style technocrat sounds rhetorical. But it may also be an acknowledgment that there are no easy ways out of the impasse—the danger of intensified violence and environmental destruction —to which globalization has brought the biggest democracy in the world.

Notes

[1] Though the service sector employs only 23 percent of the population, it accounts for 54 percent of India's GDP.

[2] Somini Sengupta, "On India's Despairing Farms, a Plague of Suicide," The New York Times, September 19, 2006.

[3] Anand Giridharadas, "Rising Prosperity Brings New Fears to India," International Herald Tribune, January 26, 2007.

[4] See Saba Naqvi Bhaumik, "Gujarat's Guru," Outlook, January 29, 2007.

[5] Ramachandra Guha, India After Gan-dhi: The History of the World's Largest Democracy (to be published by Ecco in August 2007), p. 15.

[6] Pratap Bhanu Mehta, The Burden of Democracy (Delhi: Penguin, 2003), p. 5.

[7] Jo Johnson, "Poor Turn to Private Schools," Financial Times, January 13, 2007.

[8] Dramatically increasing investment in education and health care and withdrawing tax breaks to foreign businessmen in their latest budget proposals, China's new leaders seem to be trying to check growing inequalities and social unrest in their country. See "Getting Rich," London Review of Books, November 30, 2006.

[9] Somini Sengupta, "Indian Police Kill 11 at Protest Over Economic Zone" The New York Times, March 15, 2007.

[10] Jo Johnson, "Leftist Insurgents Kill 50 Indian Policemen," Financial Times, March 15, 2007.

[11] See also Siddhartha Deb, "The 'Feel-Good': Letter from Delhi," Columbia Journalism Review, March/April 2005.

[12] For a vigorous assertion of growing economic populism in America, see James Webb, "Class Struggle: American Workers Have a Chance to Be Heard," The Wall Street Journal, November 15, 2006.

[13] Ronald Dworkin, Is Democracy Possible Here? (Princeton University Press, 2006), p. 118.

[14] Robert A. Dahl, On Political Equality (Yale University Press, 2006), pp. x, 106.

[15] Renée Loth, "Japan's Energy Wisdom," International Herald Tribune, March 26, 2007.

[16] "Refarmer Manmohan," The Economic Times, July 3, 2006.

Tuesday, June 05, 2007

খোলা পাতা, খোলা কোড - ওপেন সোর্সের দুনিয়া (২)

প্রশ্নত্তোর

গুরুচণ্ডা৯ নয়ে লেখাটার প্রথম পর্বের পর কিছু প্রশ্ন উঠেছিলো৷ যতটা মনে আছে, সেই অনুযায়ী প্রশ্নগুলো অধিকাংশ ওপেন সোর্সের সাপোর্ট নিয়ে৷ এই পর্বের লেখা শুরু করার আগে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি৷

() রিলায়েবিলিটি - ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের কোন সমস্যা হলে GNU-এর মতন সংস্থা থেকে সাপোর্ট পাওয়া যায় কি?

ছোট উত্তর - না৷ অবশ্যই কমার্শিয়াল প্রোডাক্টের মতন টেকনিক্যাল হেল্পলাইন বা কলসেন্টার পাবেন না৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে ওপেন সোর্স একটা কমিউনিটির মতন৷ প্রতিটা প্রোডাক্টের অসংখ্য ইউজার আছেন, এবং তাঁদের নিয়েই প্রতিটি প্রোডাক্টের নিজস্ব কমিউনিটি তৈরী৷ এবং camaraderie ব্যাপারটা এর মধ্যে প্রবল৷ প্রতিটি প্রোডাক্টের নিজস্ব mailing list আছে, এবং সেখানে সমস্যার কথা লিখলে কেউ না কেউ ঠিকই সাহায্য করেন৷ এমনও হতে পারে, ওখানে কিছু পোস্ট করার আগেই উত্তর পেয়ে যাবেন - পুরনো পোস্টে, কারণ আপনার আগেও হয়তো কেউ একই সমস্যায় পড়েছেন, এবং সমাধানটা পোস্ট করেছেন৷ এই দেওয়া-নেওয়ার পদ্ধতি মেনেই ওপেন-সোর্স এগোয়৷

তবে ধরে নেওয়া হয় যে আপনি একদম লে-ম্যান নন - সমস্যা পোস্ট করার আগে একটু অন্তত: ফোরাম বা মেইলিং লিস্টটা খুঁজে দেখবেন৷

() সকলে যদি ওপেন সোর্স সফটওয়্যারে কন্ট্রিবিউট করেন তাহলে ভার্সন মেইন্টেনেন্স হবে কি করে?

অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারীতে প্রকাশিত একটি পেপার থেকে তুলে দিচ্ছি - "The Open Source software maintenance process framework structure is guidelined by the ISO/IEC maintenance process and it is result of the evaluation of the Mozilla and Apache case studies...The maintenance plans should be developed and updated. The plans can be informal, as a road map of the project. They should be updated during the projects' lifecycle."

Apache বা Mozilla-র মতন সমস্ত প্রোজেক্টেই ডিফেক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আছে ডিফেক্ট লগ করার জন্যে৷ এক্সটেনশন জমা দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে৷

পেপারটার নাম Open source software maintenance process framework

কেন সফটওয়্যারের মালিক থাকা উচিত নয়

রিচার্ড স্টলম্যান ফ্রী সফটওয়্যার ফিলোজফি সম্পর্কে বলেন "you should think of 'free' as in 'free speech', not as in 'free ice cream'" - ফিলোজফিটা ভালো করে বুঝতে গেলে পড়তে হবে স্টলম্যানেরই "Why Software Should Not Have Owners" প্রবন্ধটা৷ নব্বইয়ের দশকে লেখা এই প্রবন্ধে স্টলম্যান দেখান বড় সফটওয়্যার নির্মাতাদের তরফে কি ধরণের যুক্তি সাজানো হয় সফটওয়্যারকে প্রোপ্রাইটারি করে রাখার পক্ষে৷ সফটওয়্যার পাবলিশারস অ্যাসোসিয়েশনের নেওয়া চারটে পদক্ষেপ লক্ষ্য করুন -
  • কোন বন্ধু বা সহকর্মীকে সাহায্য করার জন্যে সফটওয়্যার নির্মাতার শর্ত ভাঙা অমার্জনীয় অপরাধ - এই মর্মে ব্যাপক প্রচার
  • সহকর্মীদের ওপর প্রায় গুপ্তচরবৃত্তি করতে বলা
  • পুলিশের সাহায্য নিয়ে অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তল্লাশি, যেখানে সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত মানুষদের প্রমাণ করতে হয় যে তাঁরা অবৈধভাবে সফটওয়্যার কপি করার কাজে লিপ্ত নন
  • SPA-র অনুরোধেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের MIT-র David LaMacchia-র মতন নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরকারী ব্যবস্থা নেওয়া - সফটওয়্যার কপি করার অপরাধে নয়, শুধুমাত্র কপি করার যন্ত্র অরক্ষিত অবস্থায় রাখার জন্য
স্টলম্যান লেখেন যে এগুলো মনে করায় প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নকে - যেখানে প্রতিলিপি বন্ধ করার জন্যে সমস্ত কপিং মেশিনের সামনে সশস্ত্র রক্ষী রাখার ব্যবস্থা ছিলো৷ গোপনে তথ্য কপি করার জন্যে ব্যবহার করা হত samizdat৷ সোভিয়েত ইউনিয়নে এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ ছিলো, কিন্তু আমেরিকায় সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে কারণটা শুধুমাত্র মুনাফা - বড় ফারাক এখানেই৷ স্টলম্যান বলেন "it is the actions that affect us, not the motive. Any attempt to block the sharing of information, no matter why, leads to the same methods and the same harshness."

স্টলম্যান প্রশ্ন করেন সমাজ কি চায়?
  • তথ্য, এমনভাবে যাতে প্রতিটি নাগরিক সেটা সত্যি সত্যিই পেতে পারেন - যেমন এমন কম্পিউটার প্রোগ্রাম যেটা মানুষে পড়তে পারে, দরকারে ঠিক করতে পারে, বদলাতে পারে, যার উন্নতি করতে পারে - শুধুমাত্র রোবটের মতন তাকে চালানো নয়৷ সাধারণত: সফটওয়্যার নির্মাতাদের কাছ থেকে আমরা যা পাই সেটা একটা ব্ল্যাক বক্সের বেশি কিছু নয় - তার মধ্যে কি হচ্ছে, কি চলছে - সেসব জানার কোন উপায় আমাদের হাতে নেই৷ এবং সফটওয়্যার মনোপলির সমর্থকেরা সেটাই চান - কারণ এতেই তাঁদের মুনাফা - "জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই"...
  • স্বাধীনতা - সফটওয়্যারের মালিক থাকলে ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি আপনার জীবনের একটা অংশের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রন হারাচ্ছেন - যতই ছোট হোক না কেন সেই অংশটুকু৷
  • সহযোগ - সমাজ চায় সমস্ত মানুষের মধ্যে স্বেচ্ছায় তৈরী হওয়া একটা সহযোগিতার পরিবেশ - camaraderie৷ বন্ধু বা সহকর্মীকে সাহায্য করাকে piracy-র তকমা দিয়ে মনোপলির প্রচারকেরা সামাজিক মূল্যবোধকে ছোট করতে চান৷
এইখান থেকেই ফ্রী সফটওয়্যার ফাউন্ডেশনের মটোটা উঠে আসে - "free software is a matter of freedom, not price" - ফ্রী আইসক্রীম নয়, ফ্রী স্পীচ৷

"As a computer user today, you may find yourself using a proprietary program. If your friend asks to make a copy, it would be wrong to refuse. Cooperation is more important than copyright. But underground, closet cooperation does not make for a good society. A person should aspire to live an upright life openly with pride, and this means saying “No” to proprietary software.

You deserve to be able to cooperate openly and freely with other people who use software. You deserve to be able to learn how the software works, and to teach your students with it. You deserve to be able to hire your favorite programmer to fix it when it breaks.

You deserve free software.
"

কপিলেফট - কি এবং কেন

GNU প্রোজেক্ট থেকেই জন্ম নেয় কপিলেফটের চিন্তা - a general method for making a program or other work free, and requiring all modified and extended versions of the program to be free as well. [What is Copyleft]

কোন কম্পিউটার প্রোগ্রামকে ফ্রী সফটওয়্যার বানানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল বিনা-কপিরাইটে সেটিকে বিতরণ করা৷ এক্ষেত্রে কেউ চাইলে এই প্রোগ্রামের মধ্যে বদল করতে পারেন, কোন উন্নতি করতে পারেন - এবং চাইলে সেই পরিবর্তিত বা উন্নত প্রোগ্রামটিকে শেয়ারও করতে পারেন৷ কিন্তু, কেউ চাইলে ফ্রী প্রোগ্রামটিকে প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারও বানিয়ে ফেলতে পারেন৷

GNU প্রোজেক্টের লক্ষ্য হল সকলকেই GNU সফটওয়্যার পরিবর্তন করার এবং রিডিস্ট্রিবিউট করার সুবিধা দেওয়া৷ কেউ যাতে GNU সফটওয়্যারকে প্রোপ্রাইটারি না বানিয়ে ফেলেন, সেই উদ্দেশ্যে তৈরী "কপিলেফট" - পরিবর্তিত বা অপরিবর্তিত - যাই হোক না কেন, সফটওয়্যারটি রিডিস্ট্রিবিউট করতে গেলে তার সঙ্গে সেটিকে আরো বদলানো বা কপি করার স্বাধীনতাটাও দিতে হবে৷

একটা সফটওয়্যারকে কি করে কপিলেফট করা হয়? প্রথমে সেটাকে "কপিরাইটেড" বলে ঘোষনা করা হয়, তারপর তাতে আরো কিছু আইনী শর্ত (distribution terms) রাখা হয় - যে শর্তগুলো সকলকেই এই সফটওয়্যার ব্যবহার করার, এর মধ্যে বদল করার, একে বা এই সফটওয়্যার থেকে তৈরী অন্য কোন সফটওয়্যার রিডিস্ট্রিবিউট করার অধিকার দেয়, এই শর্তে যে অরিজিনাল distribution terms গুলো অপরিবর্তিত থাকবে৷ সফটওয়্যারের কোড এবং ব্যবহারের স্বাধীনতা তখন অবিচ্ছেদ্য হয়ে দাঁড়ায়৷

প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারের সাথে তফাত্টা এখানেই - প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে কপিরাইট ব্যবহার করা হয় সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা কেড়ে নিতে; GNU প্রোজেক্টে কপিরাইট ব্যবহৃত হয় ব্যবহারকারীর স্বাধীনতার গ্যারান্টী দিতে৷ তাই নামটা উল্টে দেওয়া হয় - "কপিরাইট" হয়ে যায় "কপিলেফট"৷

বিভিন্ন ধরণের লাইসেন্সের ব্যবহার আছে কপিলেফটের ক্ষেত্রে, যেমন -

GNU General Public License (GPL)
GNU Lesser General Public License (LGPL)
GNU Free Documentation License (FDL)

এই লাইসেন্সগুলোর ব্যবহারও অত্যন্ত সহজ - লাইসেন্সের মধ্যে কোন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র সফটওয়্যার প্যাকেজের মধ্যে লাইসেন্সের একটা কপি আর প্রতিটা সোর্স ফাইলের (যার মধ্যে প্রোগ্রাম লেখা) মধ্যে এই লাইসেন্সের কথা বলে একটা নোটিশ - এটুকুই আপনার তৈরী সফটওয়্যারকে কপিলেফটের আওতায় আনবে৷ ও হ্যাঁ, এর সাথে প্রয়োজন "ইচ্ছে" - তথ্যের আদানপ্রদানের ইচ্ছে, সহযোগীতার ইচ্ছে, স্বাধীনতার ইচ্ছে - সেগুলোই আপনাকে বলে দেবে আপনি ওপেন-সোর্স বা ফ্রী সফটওয়্যার আন্দোলনের সাথী কিনা৷

(মূল লেখা, এবং কিছু তর্ক-বিতর্ক)




Tuesday, May 08, 2007

কিউবা! আফ্রিকা! রেভলিউশন!

সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎই বিবিসি-ফোরে দুই কিস্তিতে একটা তথ্যচিত্র দেখলাম - "কিউবা! আফ্রিকা! রেভলিউশন!" - আফ্রিকার বর্ণবিদ্বেষবিরোধী আন্দোলনে, এবং আফ্রিকার নানা দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে কিউবার ইনভলভমেন্ট নিয়ে। দেখতে দেখতে মনে হল এই ডকুমেন্টারিটার কথা লিখে রাখি - এ এমন এক ইতিহাস যাকে সজ্ঞানে গণস্মৃতি থেকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে বহুদিন ধরে - আর তার ফলেই এই কথাগুলো আমরা অনেকেই হয়তো জানি না...

সেই থেকেই লেখা শুরু - গুরুচণ্ডা৯র পাতা থেকে বিবিসি-ফোরে প্রচারিত তথ্যচিত্র অবলম্বনে "কিউবা! আফ্রিকা! বিপ্লব!"

প্রথম পর্ব

সাতাশ বছর জেলে কাটানোর পরে ছাড়া পেয়ে নেলসন ম্যান্ডেলা চেয়েছিলেন ফিদেল কাস্ত্রোর সাথে দেখা করতে৷ কিউবা সম্পর্কে ম্যান্ডেলার একটি মন্তব্য বিখ্যাত হয়ে আছে Long live the Cuban Revolution. Long live comrade Fidel Castro...Cuban internationalists have done so much for African independence, freedom, and justice. We admire the sacrifices of the Cuban people in maintaining their independence and sovereignty in the face of a vicious imperialist campaign designed to destroy the advances of the Cuban revolution. We too want to control our destiny... There can be no surrender. It is a case of freedom or death. The Cuban revolution has been a source of inspiration to all freedom-loving people.

অবশ্যই এক অংশের মানুষের কাছে এরপর ম্যান্ডেলা হিপোক্রিট হয়ে পড়েন - ছোট এবং হাস্যকর উদাহরণ ইয়াহু অ্যানসারের এই পাতাটা

২০০৩ সালে, কাউন্টারপাঞ্চে প্রকাশিত এক ইন্টারভিউয়ে নোয়াম চমস্কি বাকি পৃথিবীর মানুষের স্বাধীনতার লড়াইয়ে কিউবার যোগদান নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন for example, let's take Cuba's role in the liberation of Africa. It's an astonishing achievement that has almost been totally suppressed. Now you can read about it in scholarship, but the contribution that Cuba made to the self-liberation of Africa is fantastic. And that was against the entire concentrated power of the world. All the imperialist powers were trying to block it. It finally worked and Cuba's contribution was unique. That's another reason why Cuba is hated. Just the plain fact that black soldiers from Cuba were able to beat back a South African invasion of Angola sent shock waves throughout the continent. The black movements were inspired by it. The white South Africans were psychologically crushed by the fact that South African forces could be defeated by a black army. The United States was infuriated. If you look at the next couple of years, the terrorist attacks on Cuba got much worse.

সলিডারিটি আর আন্তর্জাতিকতাবাদের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস দেখায় বিবিসির এই তথ্যচিত্র৷ এমন একটা সময়ে যখন সলিডারিটি শব্দটা ক্রমশ: ধোঁয়াটে হয়ে এসেছে, ভিয়েতনামের জন্যে কলকাতায় মিছিল বা কিউবায় চাল পাঠিয়ে সলিডারিটি দেখানোর প্রচেষ্টা দেখলে আমরা ঠোঁট বেঁকিয়ে সরে যেতে পছন্দ করি৷

কঙ্গো - ১৯৬০

১৯৬০ সালের শুরুর দিকে বেলজিয়াম সিদ্ধান্ত নেয় যে কঙ্গোকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে৷ ঐ বছরই মে মাস নাগাদ কঙ্গোর জাতীয় নির্বাচনে প্যাট্রিস লুমুম্বার নেতৃত্বে Mouvement National Congolais (MNC) জিতে সরকার তৈরীর অধিকার পায়৷ ২৩শে জুন পঁয়ত্রিশ বছর বয়স্ক লুমুম্বা কঙ্গোর প্রথম প্রধানমন্ত্রী হ', রাষ্ট্রপতি হ'ন জোসেফ কাসা-ভুবু৷ ৩০শে জুন, ১৯৬০, কঙ্গো স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়৷ ঐ দিনটা বিশেষভাবে উল্লিখিত হয় কঙ্গোর স্বাধীনতার ইতিহাসে৷ স্বাধীনতা ঘোষনার সময় বেলজিয়াম সম্রাট Baudouin তাঁর ভাষণে বলতে থাকেন কিভাবে বেলজিয়াম রাষ্ট কঙ্গোর অসভ্য বর্বর মানুষদের সভ্যতার আলোয় আনার চেষ্টা করেছে...সম্রাট লিওপোল্ড কিভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন কঙ্গো থেকে sleeping sickness তাড়ানোর জন্যে...ইত্যাদি...ইত্যাদি...সামনে পাথরের মতন বসে বাদবাকি বেলজিয়ান ভদ্রলোকের দল, আর আস্তে আস্তে অশান্ত হয়ে ওঠে কঙ্গোর অসভ্য কালো মানুষেরা৷ অনুষ্ঠানসূচীতে লুমুম্বার নাম ছিলো না, কিন্তু লুমুম্বা উঠে দাঁড়িয়ে একটি বক্তৃতা দেন৷

For this independence of the Congo, even as it is celebrated today with Belgium, a friendly country with whom we deal as equal to equal, no Congolese worthy of the name will ever be able to forget that is was by fighting that it has been won, a day-to-day fight, an ardent and idealistic fight, a fight in which we were spared neither privation nor suffering, and for which we gave our strength and our blood...This was our fate for eighty years of a colonial regime; our wounds are too fresh and too painful still for us to drive them from our memory.

We have known harassing work, exacted in exchange for salaries which did not permit us to eat enough to drive away hunger, or to clothe ourselves, or to house ourselves decently, or to raise our children as creatures dear to us. We have known ironies, insults, blows that we endured morning, noon, and evening, because we are Negroes. Who will forget that to a black one said
tu, certainly not as to a friend, but because the more honorable vous was reserved for whites alone?

We have seen our lands seized in the name of allegedly legal laws which in fact recognized only that might is right. We have seen that the law was not the same for a white and for a black, accommodating for the first, cruel and inhuman for the other.

We have witnessed atrocious sufferings of those condemned for their political opinions or religious beliefs; exiled in their own country, their fate truly worse than death itself.

We have seen that in the towns there were magnificent houses for the whites and crumbling shanties for the blacks, that a black was not admitted in the motion-picture houses, in the restaurants, in the stores of the Europeans; that a black travelled in the holds, at the feet of the whites in their luxury cabins.

Who will ever forget the massacres where so many of our brothers perished, the cells into which those who refused to submit to a regime of oppression and exploitation were thrown?

All that, my brothers, we have endured.


সম্রাট Baudouin-এর রাজসিক ভাষণ এবং কাসা-ভুবুর নিরুত্তাপ প্রতিবাদহীন বক্তব্যের পর লুমুম্বার ভাষণের আগুন উপস্থিত সমস্ত কঙ্গোবাসীর মুখে দেখা যেতে থাকে৷ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় প্রতিশোধের, থুড়ি, বেয়াদপির শাস্তির প্রস্তুতি৷

কঙ্গো স্বাধীনতা পেলেও পাঁচ বছরের জন্যে সমস্ত জরুরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থেকে যায় বেলজিয়ামের হাতে - স্বাধীন কঙ্গোর স্বাধীন সরকারকে প্রায় ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয় - লুমুম্বার বেয়াদপির শাস্তির শুরু৷ ওদিকে বেলজিয়ামের সমর্থনে কাটাঙ্গা অঞ্চল কঙ্গো থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষনা করে৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষক সৈন্যদল কঙ্গোয় নামে - কিন্তু সেটা প্রায় আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে৷ কাসা-ভুবু আইনকে কাঁচকলা দেখিয়ে লুমুম্বাকে বরখাস্ত করেন, লুমুম্বাও কাসা-ভুবুকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করেন...সেপ্টেম্বর মাসে কর্নেল মোবুতুর নেতৃত্বে আর কাসা-ভুবুর সমর্থনে এক অভ্যুত্থানে কঙ্গোর প্রথম সরকারের শেষ নামে, লুমুম্বা বন্দী হ'ন৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষক বাহিনী লুমুম্বাকে গৃহবন্দী করে রাখে - রক্ষার উদ্দেশ্যে৷ লুমুম্বা পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন - রাষ্ট্রপুঞ্জ তাঁকে বাঁচাতে অস্বীকার করে৷ কর্নেল মোবুতুর ডেরায় রীতিমতন অত্যাচারের পর তাঁকে তুলে দেওয়া হয় কাটাঙ্গার সৈন্যদের হাতে, সম্ভবত ১৯৬১ সালে লুমুম্বাকে হত্যা করা হয়৷ পরে এক বেলজিয়ান কমিশন রায় দেয় কাটাঙ্গার সরকারের হাতে লুমুম্বার মৃত্যু ঘটলেও সেখানে বেলজিয়ান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন, এবং তাঁদের সমর্থনও ছিলো৷ এবং পরোক্ষে লুমুম্বার অপসারণ এবং হত্যার পিছনে আইজেনহাওয়ারের সমর্থনও ছিলো - কারণ আমেরিকা লুমুম্বার সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের যোগাযোগকে সন্দেহের চোখে দেখতো৷

বিবিসি-র এই ডকুমেন্টারিতে CIA-এর এক প্রাক্তন অপারেটিভকেও এই বক্তব্য সমর্থন করতে দেখা যায়৷ ইনফ্যাক্ট, আইজেনহাওয়ার চেয়েছিলেন CIA-এর এই অপারেটিভই কাজটা সারুন৷

নিউ ইয়র্ক, ১৯৬৪

কঙ্গোর আগুন ততদিনে আফ্রিকার অন্যত্রও ছড়াতে শুরু করেছে৷ ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে চে গেভারার নেতৃত্বে কিউবার এক প্রতিনিধিদল নিউ ইয়র্কে আসেন... রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে গেভারার ভাষণ আজ ইতিহাস৷ ঐ ভাষণেই চে আফ্রিকার স্বাধীনতার লড়াই কথা আনেন -

Once again we raise our voice to put the world on guard against what is happening in South Africa. The brutal policy of apartheid is being carried out before the eyes of the whole world. The peoples of Africa are being compelled to tolerate in that continent the concept, still official, of the superiority of one race over another and in the name of that racial superiority the murder of people with impunity. Can the United Nations do nothing to prevent this? I should like specifically to refer to the painful case of the Congo, unique in the history of the modern world, which shows how, with absolute impunity, with the most insolent cynicism, the rights of peoples can be flouted. The prodigious wealth of the Congo, which the imperialist nations wish to maintain under their control, is the direct reason for this. In his speech on his first visit to the United Nations, our comrade Fidel Castro said that the whole problem of coexistence among peoples was reduced to the undue appropriation of another's wealth. He said, When this philosophy of despoilment disappears, the philosophy of war will have disappeared.

The philosophy of despoilment not only has not ceased, but rather it is stronger than ever, and that is why those who used the name of the United Nations to commit the murder of Lumumba, today, in the name of the defence of the white race, are assassinating thousands of Congolese. How can one forget how the hope that Patrice Lumumba placed in the United Nations was betrayed? How can one forget the machinations and manoeuvres which followed in the wake of the occupation of that country by United Nations troops under whose auspices the assassins of this great African patriot acted with impunity? How can we forget that he who flouted the authority of the United Nations in the Congo, and not exactly for patriotic reasons, but rather by virtue of conflicts between imperialists, was Moise Tshombe, who initiated the secession in Katanga with Belgian support? And how can one justify, how can one explain, that at the end of all the United Nations activities there, Tshombe, dislodged from Katanga, returned as lord and master of the Congo? Who can deny the abject role that the imperialists compelled the United Nations to play?

...

And as if this were not enough, we now have flung in our faces recent events which have filled the world with horror and indignation. Who are the perpetrators? Belgian paratroopers transported by United States planes, who took off from British bases. We remember as if it were yesterday that we saw a small country in Europe, a civilized and industrious country, the kingdom of Belgium, invaded by the hordes of Hitler. We learned with bitterness that these people were being massacred by the German imperialists, and our sympathy and affection went out to them. But the other side of the imperialist coin many did not then perceive. Perhaps the sons of Belgian patriots who died defending their country are now assassinating thousands of Congolese in the name of the white race, just as they suffered under the German heel because their blood was not purely Aryan. But the scales have fallen from our eyes and they now open upon new horizons, and we can see what yesterday, in our conditions of colonial servitude, we could not observe - that
Western civilization disguises under its showy front a scene of hyenas and jackals. That is the only name that can be applied to those who have gone to fulfil humanitarian tasks in the Congo. Bloodthirsty butchers who feed on helpless people! That is what imperialism does to men; that is what marks the white imperialists.

The free men of the world must be prepared to avenge the crime committed in the Congo. It is possible that many of those soldiers who were converted into
supermen by imperialist machinery, believe in good faith that they are defending the rights of a superior race, but in this assembly those peoples whose skins are darkened by a different sun, colored by different pigments, constitute the majority, and they fully and clearly understand that the difference between men does not lie in the color of their skins, but in the ownership of the means of production and in the relationship of production.

The Cuban delegation extends greetings to the peoples of Southern Rhodesia and Southwest Africa, oppressed by white colonialist minorities, to the peoples of Basutoland, Bechuanaland, Swaziland, French Somaliland, the Arabs of Palestine, Aden, and the Protectorates, Oman, and to all peoples in conflict with imperialism and colonialism; and we reaffirm our support.


কঙ্গো, ১৯৬৫

১৯৬৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে আফ্রো-এসিয়ান সলিডারিটির এক কনফারেন্সে চে বক্তব্য রাখেন এই লড়াইয়ের কোন সীমারেখা নেই৷ পৃথিবীর কোনো প্রান্তের কোনো ঘটনা থেকেই আমরা মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারি না৷ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে কোন দেশের জয় আমাদের জয়, একইভাবে তাদের পরাজয়ও আমাদের৷ উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক কোন মঞ্চে জনসমক্ষে চে-র এই শেষ উপস্থিতি৷ এই রকম সময়েই ফিদেল কাস্ত্রোর সাথে আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে চে ব্যক্তিগতভাবে আফ্রিকায় কিউবার প্রথম মিলিটারি অ্যাকশনের নেতৃত্বে থাকবেন৷ কাস্ত্রো পরে জানান যে চে ঐসময়েই লাতিন আমেরিকা চলে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কাস্ত্রো মনে করতেন যে লাতিন আমেরিকার মানুষ গেরিলা যুদ্ধের জন্যে তখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয় - তাই লাতিন আমেরিকার বদলে আফ্রিকার কথা ভাবা হয়৷ চে গেভারা সিদ্ধান্ত নেন যে কঙ্গো-কিনশাসা এলাকাকে কেন্দ্র করে তাঁদের লড়াই শুরু হবে৷ ঐ অঞ্চলের মানুষের মনে প্যাট্রিস লুমুম্বার প্রতি সহানুভূতি ছিলো, আর কাবিলা বলে লুমুম্বার একসময়ের সাথী এক গেরিলা নেতাও ঐ অঞ্চলে ছিলেন (যদিও কাবিলা সম্পর্কে চে'র মনোভাব খুব একটা উঁচুদরের ছিলো না)৷

১৯৬৫ সালের এপ্রিলে রামোন বেনিতেজ বলে এক হিস্প্যানিক ভদ্রলোক (এখন আমরা জানি এই রামোন বেনিতেজ কে - সেই সময় স্বয়ং কাস্ত্রো চে-র এই ছদ্মবেশ ধরতে পারেননি) দার-এস-সালামে পৌঁছলেন - সেখান থেকে গোপনে কঙ্গো-কিনশাসার পথে৷ ঐ এপ্রিলেই ভিক্তর ড্রেক (চে'র গেরিলা যুদ্ধের সঙ্গী) এবং আরো বারোজন সদস্য কঙ্গোতে পৌঁছন - গোপনে৷ গোটা মিশনের প্ল্যানিং অত্যন্ত গোপনে হয়েছিলো৷ ভিক্তর ড্রেক পরে বিবিসি-র ইন্টারভিউয়ে জানান যে চে তাঁকে খুব কালো কয়েকজন গেরিলা-যুদ্ধে এক্সপার্ট কমরেডকে নিয়ে একটা দল তৈরী করতে বলেন - এমন একটা অভিযানের জন্যে যেখান থেকে ফেরার কোন নিশ্চয়তা নেই কত কালো?খুব কালো৷ তড়িঘড়ি টীম তৈরী হয়, এঁদের অল্প কিছু জামাকাপড় দেওয়া হয়...চটজলদি করার জন্যে একই দোকান থেকে একই সাইজের এবং একই রকমের সমস্ত পোশাক এসে পৌঁছয়...ড্রেক পরে জানান যে প্রচুর দর্শক জমে গেছিলো এই অদ্ভুত টীমকে দেখার জন্যে...

কঙ্গোতে প্রায় শ'খানেক বিদ্রোহী কিউবার থেকে আসা এই গেরিলা দলের সাথে যোগ দেয়৷ তাদের মধ্যে একজন ফ্রেডি ইলাঙ্গা - তখন টীনএজার মাত্র, পরে একজন ব্রেন-সার্জন৷ ইলাঙ্গা এই পুরো সময়টা চে-র সাথে থেকেছেন সঙ্গী এবং দোভাষী হিসেবে৷ এই ইলাঙ্গাই জানান, যে আন্তর্জাতিক ইস্যু হতে পারে বলে চে শুরু থেকে চেয়েছিলেন তাঁর উপস্থিতি গোপন রাখতে৷ তাই ভিক্তর ড্রেককে কমাণ্ডার বানান তিনি৷ নিজে থাকেন ডাক্তার হিসেবে৷ সোয়াহিলি ডিকশনারী ব্যবহার করে সকলের নাম দেওয়া হয় - যেমন ড্রেকের নাম হয় ময়া (সোয়াহিলি ভাষায় এক নম্বর), চে-র নাম হয় তাতু (অর্থা তিন)৷ ইলাঙ্গা এবং আরো অনেকে প্রথমে আশ্চর্য্য হয়েছিলেন - এরা কি নম্বর দিয়ে নাম রাখে?

অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও চে এবং কিউবান বিপ্লবীরা কঙ্গোর গেরিলাদের সহজে গেরিলা-যুদ্ধে শিক্ষিত করতে পারেননি৷ ইলাঙ্গার কথাতেই বন্দুক ছিলো আমাদের, কিন্তু আমরা কেউ বন্দুক তাক করতে জানতাম না - বন্দুকে গুলি ভরতাম, তুলতাম আর ঘোড়া টিপতাম৷ আর তার ফলে আমার সাথীর গুলিতে আমার মরার সুযোগও ছিলো, কারণ সেও তো তাক করতে জানতো না৷ সাংগঠনিক দুর্বলতাগুলোকেও কাটানো কঠিন হয়ে পড়েছিলো৷ আর কিউবান বিপ্লবীদের সাথে কঙ্গোর মানুষের সাংস্কৃতিক ফারাকও বিরাট৷ ওদিকে মোবুতুর সৈন্যবাহিনী টাঙ্গানাইকা লেককে টার্গেট করে কারণ এই লেকের অপর পাড়ে পাহাড়ী অঞ্চলে বিদ্রোহীদের আস্তানা ছিলো৷ সাথে আয়ারল্যান্ড-জাত মার্সিনারী কর্নেল ম্যাড মাইক হোর-এর ভাড়াটে পেশাদার সৈন্যের দল৷ সৈন্যদের একটা ঘাঁটি ওড়ানো জরুরী হয়ে পড়ে - চে সহ কিউবার বাকি সকলে আর কঙ্গোর গেরিলারা একসাথী ওই ঘাঁটি আক্রমণ করে৷ ঘাঁটিটা ধ্বংস হয় ঠিকই, কিন্তু চারজন কিউবান বিপ্লবী মারা যান এবং দুর্ভাগ্যবশত: তাঁদের একজনের পরনে ছিলো একটি কিউবান অন্তর্বাস - যেটা মোবুতুর হাতে পৌঁছয়, এবং মোবুতুসহ বাকি দুনিয়া কিউবার বিপ্লবীদের উপস্থিতি সম্পর্কে নি:সন্দেহ হয়৷

ওদিকে চে গেভারাকে আর কিউবায় দেখা যাচ্ছে না - এটাও মোটামুটি সকলে জানে৷ পশ্চিমী শক্তিগুলো সর্বদা চিন্তিত - কোথায় গেলো এই উপদ্রবটা৷ CIA-র সন্দেহ হয় - আর ওরা চে-র নানারকম ছবি কঙ্গোর স্থানীয় মানুষদের দেখাতে শুরু করে - দাড়িওয়ালা চে, দাড়িছাড়া চে, গোঁফওয়ালা চে ইত্যাদি ইত্যাদি - একটা ছবি দেখে একজন স্থানীয় লোক তাতু-কে চিনতে পারেন৷ আন্তর্জাতিক ইস্যু হতে শুরু করে - অসুস্থ চে বাকি কমরেড আর কাস্ত্রোর কথায় কঙ্গো ছাড়তে বাধ্য হ'ন৷ কঙ্গোর ডায়েরীতে তিনি লেখেন This is the history of a failure.

কঙ্গো অভিযানকে সফল না বলা গেলেও ঠিক ব্যর্থও বলা যায় না৷ নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় দেওয়া বক্তৃতায় যে হুঁশিয়ারী কিউবা দিয়েছিলো, তার বাস্তব প্রতিফলন হতে শুরু করে কঙ্গোতে৷ এও সলিডারিটি আন্দোলনের এক অধ্যায়৷ এর পরেও কিউবা থেমে থাকেনি - অ্যাঙ্গোলা, দক্ষিন আফ্রিকা - সর্বত্র কিউবা সবরকমের সাহায্য করেছে৷ আজও করে৷ শুধু আফ্রিকা নয়, পৃথিবীর অন্যত্রও৷ কিন্তু আফ্রিকার দেশগুলোর স্বাধীনতার লড়াইয়ে প্রত্যক্ষ ভাগ নেওয়াকে পশ্চিমী দেশগুলো, বিশেষ করে আমেরিকা মেনে নিতে পারেনি - আর এই কারণেই আফ্রিকার এই লড়াইয়ে আরো অনেক ঘটনা ঘটে গেছে যার প্রভাব আজও দেখা যায়৷

আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে কিউবার উপস্থিতিকে পশ্চিমী দুনিয়া চিরকালই দেখেছে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রক্সি হিসেবে - সোভিয়েতের পুতুলরাষ্ট তৈরীর প্রয়াস হিসেবে৷ একটা বড় অংশের অ্যাকাডেমিক যাঁরা দুনিয়াকে শুধু পূর্ব-পশ্চিমে ভাগ করতে অভ্যস্ত, তাঁরা অ্যাঙ্গোলার গৃহযুদ্ধে কিউবার অংশগ্রহণকে শুধুমাত্র সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলদারি হিসেবে দেখতে চান৷ অন্যদিকে নামিবিয়ার স্বাধীনতার লড়াই বা বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আফ্রিকার লড়াইয়ে সঙ্গী হিসেবে কিউবার ভূমিকাকে গণস্মৃতি থেকে মুছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলে৷ আর ওয়াশিংটনের তরফ থেকে কিউবার এই ভূমিকাকে সোভিয়েত-ডমিনেশনের জন্য ভাড়াটে-সৈন্যদের অ্যাক্টিভিটি হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও, কোন ক্ষেত্রেই কিউবার কোনরকম অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা বা ইচ্ছা দেখা যায়নি৷ পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ - গিনি-বিসাউ - শক্তিশালী পোর্তুগালের বিরুদ্ধে লড়ে স্বাধীনতা আদায় করেছিলো৷ গিনি-বিসাউয়ের স্বাধীনতা-সংগ্রামের একচ্ছত্র নেতা আমিলকার কাবরালের ভাষায় কিউবা কোনও দাবি রাখেনি৷ শুধুমাত্র শর্তহীন সহায়তা দিয়েছে৷ কিউবা পৃথিবীর একমাত্র দেশ যারা আফ্রিকা থেকে ফিরেছে শুধুমাত্র তার নিজের সন্তানদের কফিন সাথে নিয়ে৷ ২০০৪ সালে কিউবায় দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্টদূত এই কথাটাই বলেন আবার No country has given as much to the world as Cuba. No country has received so little materially from the world as Cuba.

দ্বিতীয় পর্ব

আফ্রিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে কিউবার সহায়তা কঙ্গোর ব্যর্থতায় থামেনি৷ কূটনৈতিক সলিডারিটি, ট্রেনিং, আর মিলিটারি সহায়তা থেকে শুরু করে কিউবা সবই দিয়েছে - আলজিরিয়া, কঙ্গো, গিনি বিসাউ, ইথিওপিয়া - মোটামুটি আফ্রিকার সর্বত্র৷ ছোট্ট দেশ গিনি-বিসাউয়ের শক্তিশালী পোর্তুগালের হাত থেকে স্বাধীনতা অর্জন আফ্রিকায় কলোনিয়ালিজমের শেষের শুরু৷ কিন্তু কিউবার অ্যাডভেঞ্চার পীক-পয়েন্টে পৌঁছয় অ্যাঙ্গোলায়৷ অ্যাঙ্গোলা, নামিবিয়া আর দক্ষিন আফ্রিকা - এখানেই কলোনিয়ালিজম আর বর্ণবিদ্বেষের সমাপ্তি৷

১৯৭৫ থেকে ১৯৯১ - এই ষোল বছরে প্রায় তিন লক্ষাধিক কিউবান স্বেচ্ছাসেবক অ্যাঙ্গোলায় দক্ষিন আফ্রিকার শক্তিশালী সৈন্যবাহিনীকে ঠেকানোর কাজে যোগ দিয়েছিলেন - শুধু মিলিটারী সহায়তা নয় - ডাক্তারী, শিক্ষকতার মতন সিভিলিয়ান কাজের মাধ্যমেও৷ কেন? বাকি পৃথিবী এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে অনেক৷ তখন ঠাণ্ডা যুদ্ধের দিন - পূর্ব ও পশ্চিমী দুনিয়ায় অবিশ্বাস ছাড়া আর কিছু দেখা যায়না - কিউবাকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সারোগেট হিসেবে দেখানোর প্রবণতাই সর্বত্র, অথচ আফ্রিকায় এই সলিডারিটির ইস্যুতে সোভিয়েত ইউনিয়ন আর কিউবার মতে মেলে না - সোভিয়েত ইউনিয়নের পলিটব্যুরো সদস্যরা প্রকাশ্যেই বলেন - ওরা অ্যাডভেঞ্চারিস্ট - কিউবার অবিশ্বাস্য ইনভলভমেন্ট সামনে আসার পর সোভিয়েতের সাথে কিউবার সম্পর্ক বেশ ঠাণ্ডা হতে শুরু করে (এর শুরু অবশ্য কিছুটা হলেও কিউবান মিসাইল ক্রাইসিসের সময় থেকে)

১৯৭৫ সালে কাস্ত্রোর ভাষণে আন্তর্জাতিকতাবাদের কনসেপ্টটা ঠিক বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় আমাদের, আমরা যারা শুধু দেওয়া-নেওয়ার পদ্ধতিই দেখেছি...

Angola is a territory rich in natural resources. Cabinda, one of the provinces of Angola, has large oil reserves. The country is rich in minerals diamonds, copper, iron this is one of the reasons why the imperialists want to seize Angola...Some imperialists ask why we are helping the Angolans, what interest we have there. They are used to thinking that when a country is doing something it is because it is seeking oil or copper or diamonds or some other natural resource. No! We are not pursuing any material interest, and it is logical that the imperialists do not understand it, because they are exclusively guided by chauvinistic, nationalistic and egotistical criteria. We are carrying out an elementary internationalist duty when we help the Angolan people. We are not seeking oil, copper, or iron; we seek absolutely nothing. We are simply applying our political principles. We do not fold our arms when we see an African people, our brother that the imperialists want devoured suddenly and brutally attacked by South Africa. We do not fold our arms and we will never fold our arms!

অ্যাঙ্গোলার উদ্দেশ্য কিউবার স্বেচ্ছাসেবকরা যেদিন রওনা হচ্ছে, সেদিন কাস্ত্রো বলেন Today it hurts us if a Cuban is hungry, if a Cuban has no doctor, if a Cuban child suffers or is uneducated, or if a family has no housing. It hurts us even though it's not our brother, our son, or our father. Why shouldn't we feel hurt if we see an Angolan child go hungry, suffer, be killed or massacred?

অ্যাঙ্গোলা - শুরুর কথা

অ্যাঙ্গোলার সাথে কিউবার সম্পর্কের শুরু ষাটের দশকেই - যখন থেকে কিউবা আফ্রিকার স্বাধীনতার লড়াইয়ের পাশে দাঁড়াতে শুরু করে৷ অ্যাঙ্গোলার অবস্থাটা একটু প্যাঁচালো ছিলো৷ কিউবার সাথে সম্পর্ক তৈরী হয় Movimento Popular de Libertayio de Angola অথবা Popular Movement for the Liberation of Angola-র - ছোট করে MPLA - বামপন্থী সংগঠন, যার নেতৃত্বে অগাস্টিনো নেটো৷ কিউবা এদের সামরিক শিক্ষা থেকে শুরু করে অস্ত্রসাহায্য অবধি করেছিলো৷ পোর্তুগীজ কলোনিয়ালিজমের বিরুদ্ধে অ্যাঙ্গোলার লড়াইয়ের একেবারে সামনে ছিলেন অগাস্টিনো নেটো এবং MPLA ওদিকে MPLA-র বিরোধী সংগঠনও ছিলো - Uniaio Nacional para a Independencia Total de Angola (Union for the Total Independence of Angola UNITA) আর Frente Nacional de Libertayio de Angola (National Front for the Liberation of Angola FNLA) - অবামপন্থী (বলা ভালো ঘোরতর খ্রীষ্টধর্মীয় এবং জাতীয়তাবাদী) সংগঠন - তাই MPLA- ঘোর বিরোধী৷ ওদিকে MPLA-কে আটকানো তখন আমেরিকার অ্যাজেন্ডাতেও জরুরী - কারণ MPLA বামপন্থী, এবং কিউবা ছাড়াও তাদের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের সখ্যতা...তাই অ্যাঙ্গোলার এই অবস্থাকে নিউট্রালাইজ (!!!) করার জন্যে আমেরিকা প্রকাশ্যেই FNLA এবং UNITA-কে সাহায্য করতে শুরু করে৷ আমেরিকার তত্কালীন সেক্রেটারি অব স্টেট, শ্রীযুক্ত কিসিঞ্জার সক্রিয়ভাবেই দক্ষিন আফ্রিকাকে সাথে নিয়ে MPLA-কে হঠানোর চেষ্টা শুরু করেন - MPLA এবং স্বাধীন অ্যাঙ্গোলা আমেরিকার কাছে কাম্য ছিলো না৷

পোর্তুগীজদের সাথে এক বৈঠকে স্থির হয় ১১ই নভেম্বর, ১৯৭৫ হবে স্বাধীন অ্যাঙ্গোলার জন্মদিন৷ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনটে সংগঠনের প্রতিনিধিরাই - যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগাস্টিনো নেটো ( MPLA ), জোনাস সাভিম্বি ( UNITA ) এবং হোল্ডেন রোবার্তো ( FNLA ) স্বাধীন অ্যাঙ্গোলার খসরা তৈরী হয় - কিন্তু কার নেতৃত্বে সরকার তৈরী হবে সে ফয়সালা হয় না৷ তিন সংগঠন একসাথে চেষ্টা চালায় লুয়াণ্ডা দখলের - ১১ই নভেম্বর লুয়াণ্ডা যার হাতে, অ্যাঙ্গোলার সরকারও তারাই চালাবে৷ শুরু হয় গৃহযুদ্ধ - চলে যাবার আগে কলোনিয়ালিজমের শেষ চাল৷ দক্ষিন পশ্চিম আফ্রিকা, অর্থা বর্তমান নামিবিয়ায় স্বাধীনতকামী SWAPO (South West Africa People's Organization) তাদের লড়াইয়ের একটা অংশ চালাতো অ্যাঙ্গোলা থেকে - তাদের ঠেকাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সৈন্যবাহিনী অ্যাঙ্গোলায় ঢোকে৷ অন্যদিকে কঙ্গোতে কর্ণেল মোবুতুর শাসন ততদিনে স্বৈরতন্ত্রে পরিণত - FNLA গেরিলাদের পাশাপাশি সেখান থেকে সাহায্য আসতে শুরু করে UNITA-র কাছেও৷ একসাথে আক্রমণ চলে পেট্রোলিয়াম-রিচ কাবিন্দা অঞ্চলের ওপর৷ কিসিঞ্জারের অনুমোদনে CIA এর মধ্যে জড়িয়ে পরে - সাথে সাথে ইজরায়েলও - বামপন্থী MPLA-কে আটকানোর জন্য৷

অপারেশন কার্লোটা

তিনদিক থেকে আক্রান্ত অগাস্টিনো নেটো বাধ্য হয়ে কাস্ত্রোকে চিঠি লেখেন সাহায্য চেয়ে৷ ১৯৭৫-এর ৫ই নভেম্বর নেটোর অনুরোধে কিউবা অ্যাঙ্গোলায় সশস্ত্র বাহিনী পাঠানো শুরু করে৷ ফিদেল কাস্ত্রো বলেন - We simply could not sit back when the MPLA asked us for help. We gave MPLA the necessary assistance to prevent a people fighting for their independence for almost 14 years from being crushed. It was our elementary duty, our revolutionary duty, our internationalist duty to give assistance to MPLA regardless of the price.

লুয়াণ্ডা থেকে অগাস্টিনো নেটোর অনুরোধে আন্তর্জাতিক কমিউনিটির মধ্যে সাড়া দেয় একমাত্র কিউবা৷ আর আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকেও যতটা সম্ভব সাহায্য আসতে শুরু করে৷ কিউবার কম্যুনিস্ট পার্টির অন্যতম সদস্য জর্জ রিস্কেট পরে লেখেন Luanda's appeal was an urgent, rapid request. The fact is that no country in Africa was in a position to send in forces with the speed, efficiency, and numbers the moment demanded. It was not simply a case of sending in a battalion. (The Republic of) Guinea sent in forces. Guinea-Bissau also sent in a small unit in accordance with its resources. These were wonderful gestures of solidarity. But the scope of the danger required enormous forces. We sent in 36,000 men and began to push the enemy south. This required a fully fledged army, with all the necessary weapons. I don't think any country in Africa could have done that.

কিউবার সাহায্যে MPLA প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার সৈন্যদলকে ঠেলে দেয় অ্যাঙ্গোলার বর্ডারের দিকে৷ বাকি দুই সংগঠনও লুয়াণ্ডা থেকে দূরে সরে যায়, কর্নেল মোবুতুর সৈন্যরা অ্যাঙ্গোলা থেকে পালায়৷ অগাস্টিনো নেটো স্বাধীন অ্যাঙ্গোলার প্রথম রাষ্ট্রপতি'ন৷

কুইটো ক্যুয়ানাভালের যুদ্ধ

অ্যাঙ্গোলার গৃহযুদ্ধ এর পরেও চলতে থাকে৷ আমেরিকা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রমশ: আরো সাহায্য দিতে শুরু করে সাভিম্বির UNITA গোষ্ঠীকে - সাভিম্বি রোনাল্ড রেগনের খাস দোস্ত হয়ে ওঠেন - রেগনের একতরফা নির্দেশে সাভিম্বির হাতে বিখ্যাত স্টিঙ্গার মিসাইলও তুলে দেওয়া হয়৷ এই সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে কিউবার সম্পর্ক আরো কিছুটা ঠাণ্ডা হয়ে আসে - মিখাইল গর্বাচভ আফ্রিকায় লিবারেশন স্ট্রাগলের চেয়ে আমেরিকার সাথে দোস্তির দিকে বেশি মন দেন৷ আর অ্যাঙ্গোলায় MPLA সরকারের রাশিয়ান মিলিটারী উপদেষ্টাদের সাথে দূরত্ব বাড়ে কিউবান বিপ্লবীদের - কিউবানরা মনে করতো রাশিয়ানরা বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্লিন দখল করে থাকতে পারে, কিন্তু আফ্রিকায় যুদ্ধের কৌশল তাদের আয়ত্বে নেই৷ এবং তার প্রমাণও অচিরেই পাওয়া যায়৷ ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আমেরিকার অত্যাধুনিক অস্ত্রে নতুন করে সজ্জিত UNITA গেরিলাবাহিনী আর দক্ষিণ আফ্রিকার সৈন্যদল MPLA-কে কোনঠাসা করে ফেলে কুইটো ক্যুয়ানাভালে৷

MPLA-
অনুরোধে কিউবা আরো সৈন্য পাঠায় অ্যাঙ্গোলায় - সব মিলিয়ে অ্যাঙ্গোলায় কিউবার সৈন্যসংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৫০,০০০ - মিলিটারী এক্সপার্টরা বলেন একটা ছোট্ট দ্বীপের পক্ষ থেকে পাঠানো এত সৈন্য আমেরিকার সাড়ে বারো লক্ষের সমান৷ আর এর ফলে কিউবার নিজস্ব নিরাপত্তাও কমে আসে - কিন্তু সলিডারিটির কমিটমেন্ট থেকে কিউবা পিছু হটেনি - সেই মুহুর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা পারমাণবিক শক্তিধর হওয়া সত্ত্বেও

Even the (Cuban) Revolution was at stake there, because if this was a decisive battle for apartheid and meant a large-scale defeat, the Revolution was also at stake and a different outcome would have meant a major defeat for the Revolution, regardless of how noble, how just and how altruistic the cause. - কাস্ত্রো, ১৯৮৯

The revolution put everything at stake, it put its own existence at stake, it risked a huge battle against one of the strongest powers located in the area of the Third World, against one of the richest powers, with significant industrial and technological development, armed to the teeth, at such a great distance from our small country and with our own resources, our own arms. We even ran the risk of weakening our defences, and we did so. We used our ships and ours alone, and we used our equipment to change the relationship of forces, which made success possible in that battle. We put everything at stake in that action, and it was not the first time. I believe we also put an awful lot at stake in 1975 when we sent our troops to fight the South African invasion of Angola. - কাস্ত্রো, ১৯৯১

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বৃহত্তম যুদ্ধ শুরু হয় আফ্রিকার মাটিতে - শেষ অবধি আফ্রিকার ইতিহাসে যেটা ল্যাণ্ডমার্ক হয়ে দাঁড়ায়৷

যুদ্ধের পরিণাম সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে - দক্ষিণ আফ্রিকা এবং UNITA- যৌথবাহিনী কুইটো ক্যুয়ানাভাল দখল করতে পারেনি - যদিও তাদের বক্তব্য অনুযায়ী তারা করতে চায়ওনি৷ অন্যদিকে ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে SADF (South African Defence Force) -কে বড়সড় পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয় এই যুদ্ধে৷ ফলাফল যাই হোক, এই যুদ্ধ থেকেই আফ্রিকার দক্ষিণাংশে চাকা ঘুরতে শুরু করে৷ কুইটো ক্যুয়ানাভালের যুদ্ধ প্রমাণ করে যে বর্ণবিদ্বেষী শক্তি আর অপরাজেয় নয় - দক্ষিণ আফ্রিকার মিলিটারীর মনোবল তলানীতে ঠেকে যায়৷ ওদিকে আমেরিকান কংগ্রেস তত্পর হয়ে ওঠে আরেকটা ভিয়েতনাম আটকানোর জন্য - UNITA এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যে অর্থ এবং অস্ত্রসাহায্য আটকে দেয় কংগ্রেস৷

১৯৮৮ সালে আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিউবা, অ্যাঙ্গোলা আলোচনায় বসে৷ আমেরিকার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী অব স্টেট চেস্টার ক্রকার এই আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন৷ ইনটেনসিভ কূটনৈতিক আলোচনা চলে প্রায় সাত মাস ধরে - যার ফলশ্রুতি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের রেজলিউশন ৪৩৫, এবং নামিবিয়ার স্বাধীনতা৷ কিউবা তার সৈন্যদল ফিরিয়ে নেয়, দক্ষিণ আফ্রিকা নামিবিয়া ছেড়ে পিছিয়ে যায়৷ বর্ণবিদ্বেষী সরকারের শেষ ঘনাতে শুরু করে - ম্যাণ্ডেলা ছাড়া পান, ঠিক পরপরই দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্বাচিত হয় আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সরকার - শেষ হয় একটা কালো যুগের - ঐতিহাসিকদের একাংশ আফ্রিকার এই বিপ্লবী অধ্যায়ের নাম দেন আফ্রিকান স্তালিনগ্রাড৷ ১৯৯১ সালে হাভানায় এক সম্মেলনে নেলসন ম্যাণ্ডেলা বলেন The defeat of the racist army at Cuito Cuanavale has made it possible for me to be here today! Cuito Cuanavale was a milestone in the history of the struggle for southern African liberation!

কেন?

কেন কিউবা নিজেকে জড়িয়েছিলো অ্যাঙ্গোলায়? এই প্রশ্নের সবচেয়ে কমন উত্তর সকলেরই জানা - কিউবাকে পশ্চিমী দুনিয়া সোভিয়েতের "সারোগেট' হিসেবেই দেখতে পছন্দ করে৷ কিন্তু এর আসল উত্তরটা অন্য কোথাও খুঁজতে হয়৷

রক্তঋণ শোধ - কোনো এক সময় আমরাও স্লোগান দিয়েছি শহীদ স্মরণে আপন মরণে রক্তঋণশোধ করো - আজ ভাবলে হাসি পায়, যখন কিউবা আর আফ্রিকার এই ইতিহাস পড়ি৷ স্বাধীনতার লড়াইয়ে পাশে দাঁড়ানো, বা বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই ছাড়াও কিউবা একটা বিরাট ঋণ শোধ করতে চেয়েছিলো - এই রক্তঋণ

অ্যাঙ্গোলায় কিউবান অপারেশনের নাম - অপারেশন কার্লোটা - দেওয়া হয় এক আফ্রো-কিউবান ক্রীতদাসিনীর নামে - যিনি ১৮৪৩ সালের ৫ই নভেম্বর (১৯৭৫-এর এই দিনে কিউবার অ্যাঙ্গোলা অভিযান শুরু হয়) এক বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন৷ কিউবান পেনেকোস্টাল চার্চের রেভারেণ্ড আবুনো গঞ্জালেস বলেছিলেন My grandfather came from Angola. So it's my duty to go and help Angola. I owe it to my ancestors. We believe we are doing our duty. The majority of blacks in Cuba have African origins. So we are greatly indebted to our ancestors. While I was in Angola I even tracked down the tribe from which my grandfather came.

এই কেন-র উত্তর ১৯৮৩ সালে সবচেয়ে জোরালোভাবে দেন জর্জ রিস্কেট There were no doubts. It was not, however, a decision made without reflection. It was analyzed in depth. The conclusion was reached that it was correct to provide such aid, that it was absolutely necessary, and that it was possible. Not to do so, on the other hand, would be to commit a great crime against a people who had fought for a long time, a people we had helped in that fight. Moreover, we saw this kind of aid as a duty, as something for which we didn't even expect thanks. Why? Because of the way Africans had been brought to Cuba over the centuries. They came in chains. They were hunted down like animals, converted into human slaves, and thrown into the holds of ships. What is our debt to Africa? I think all countries to which slaves were taken, and which produced enormous riches, owe an immense debt to Africa.

আর আফ্রিকার লিবারেশন স্ট্রাগলে কিউবার অবদানের কথাকে ছোট্ট করে বুঝিয়ে দেন আমিলকার কাবরাল - I don't believe in life after death, but if there is, we can be sure that the souls of our forefathers who were taken away to America to be slaves are rejoicing today to see their children reunited and working together to help us be independent and free.

আর সেই ছোট্ট দ্বীপটার কোনো এক কোণে গোটা আফ্রিকার মানুষের মন থেকে রোজ ঝরে পড়া শ্রদ্ধা নিয়ে শুয়ে থাকেন প্রায় কুড়ি হাজার সাহসী সৈনিক - আফ্রিকা থেকে সোনা-হীরে-তেল নয়, শুধুমাত্র যাঁদের কফিন সাথে করে ফিরেছিলো কিউবা৷

সুত্র

(
১) African Stalingrad: The Cuban Revolution, Internationalism, and the End of Apartheid, Isaac Saney, Latin American Perspectives, 2006; 33; 81
(
২) প্যাট্রিস লুমুম্বা উইকিপিডিয়া থেকে, এবং উইকিপিডিয়ার আরো বিভিন্ন পাতা - এই বিষয়ে
(
৩) Back to the Motherland: Cuba in Africa, Christian Parenti
(
৪) Cuba! Africa! Revolution!
(
৫) ব্যাটল অব কুইটো ক্যুয়ানাভাল