কলেজে পড়তে গিয়ে পাকেচক্রে জড়িয়ে গেছিলুম ছাত্র-রাজনীতিতে। বামপন্থী বাড়ি, ওই একই কলেজে দিদিও পড়তো, তার ইনফ্লুয়েন্স...ছাত্র ফেডারেশনই হল ঠিকানা। কার একটা ঘরে যেন (নাম মনে নেই) একটা পুরোনো টিনের বাক্স খুঁজে পেলুম, ছাত্র ফেডারেশনের সম্পত্তি - আগের কমরেডরা রেখে গেছে। সেই বাক্স ঘাঁটতে গিয়ে হাতে এলো একটা সাইক্লোস্টাইল করা খাতা...অসংখ্য গান লেখা - গণসঙ্গীত - কিছু চেনা, কিছু নতুন। পরের বছরগুলোতে ওই খাতাটা বুকের মধ্যে করে রাখতুম। কলেজে ছেড়ে চলে আসার আগের দিন, আমার উত্তরাধিকারী ধীমানকে দিয়ে এসেছিলুম।
গানগুলো সঙ্গ ছাড়েনি, এখনও গুণগুণিয়ে...ঘরে বা চানঘরে...ছেলেকে শোনানোর জন্যে...কয়েকদিন আগে একটা গান পুরোটা মনে না পড়াতে সেই খাতাটার কথা মনে পড়লো - কত যে গান ছিলো ওতে...
শমিক গানটা যোগার করে দিয়েছে, লক্ষ্মী ছেলে...
হুঁশিয়ার, ও সাথী কিষাণ মজদুর ভাইসব হুঁশিয়ার।
মৃত্যুর বিভীষিকা ছড়াতে ছড়াতে গ্রাম
জ্বালাতে জ্বালাতে মাটি
হিংস্র সাপের রাশি তুলেছে ফনা
কেড়ে নিতে বাঁচবার লড়বার অধিকার
রক্তে রক্তে বোনা ফসলের অধিকার
সাথীদের খুনে রাঙা পথে দ্যাখো
হায়েনার আনাগোনা...
জানি পারবে না কেড়ে নিতে জনতার অধিকার
পারবে না কেড়ে নিতে পারবে না,
পারবে না শত্রুরা পারবে না।
জাগ্রত জনতার রোষানলে পুড়ে যাবে
পুড়ে যাবে শত্রুর শাণিত ফনা।
পারবে না শত্রুরা পারবে না৷
তাই আহ্বান দিকে দিকে নয় আর দেরি নয়,
সময় তো নেই আর ভাই রে
জোটটাকে আমাদের বজ্রকঠিন করে
তুলে নাও হাতিয়ার ভাই রে
ছিঁড়ে ফ্যালো দৃঢ় হাতে চক্রান্তের জাল
বিভেদের কুমন্ত্রণা,
সাথীদের খুনে রাঙা পথে দ্যাখো
হায়েনার আনাগোনা...
জানি জ্বলছে জ্বলছে শত অগ্নিপাথার বুকে
চক্ষে চক্ষে জ্বলে তীব্র ঘৃণা
সাথীদের খুনে বুকে উল্কা-জ্বালার দাহ
রক্তিম শপথের ভরা চেতনা
সাথীদের খুনে রাঙা পথে দ্যাখো
হায়েনার আনাগোনা...
তাই আহ্বান
ও সাথী কিষাণ মজদুর ভাই শোন আহ্বান।
তাই আহ্বান দিকে দিকে নয় আর দেরি নয়,
সময় তো নেই আর ভাই রে
জোটটাকে আমাদের বজ্রকঠিন করে
তুলে নাও হাতিয়ার তাই রে
কালজয়ী সংগ্রাম শুরু করো বন্ধুরা
হেঁকে বলো সইব না, সইব না
সাথীদের খুনে রাঙা পথে পথে
হায়েনার আনাগোনা আর সইবো না।
সাথীদের খুনে রাঙা পথে দ্যাখো
হায়েনার আনাগোনা...
থ্যাঙ্ক ইউ, শমিক।
গানগুলো সঙ্গ ছাড়েনি, এখনও গুণগুণিয়ে...ঘরে বা চানঘরে...ছেলেকে শোনানোর জন্যে...কয়েকদিন আগে একটা গান পুরোটা মনে না পড়াতে সেই খাতাটার কথা মনে পড়লো - কত যে গান ছিলো ওতে...
শমিক গানটা যোগার করে দিয়েছে, লক্ষ্মী ছেলে...
হুঁশিয়ার, ও সাথী কিষাণ মজদুর ভাইসব হুঁশিয়ার।
মৃত্যুর বিভীষিকা ছড়াতে ছড়াতে গ্রাম
জ্বালাতে জ্বালাতে মাটি
হিংস্র সাপের রাশি তুলেছে ফনা
কেড়ে নিতে বাঁচবার লড়বার অধিকার
রক্তে রক্তে বোনা ফসলের অধিকার
সাথীদের খুনে রাঙা পথে দ্যাখো
হায়েনার আনাগোনা...
জানি পারবে না কেড়ে নিতে জনতার অধিকার
পারবে না কেড়ে নিতে পারবে না,
পারবে না শত্রুরা পারবে না।
জাগ্রত জনতার রোষানলে পুড়ে যাবে
পুড়ে যাবে শত্রুর শাণিত ফনা।
পারবে না শত্রুরা পারবে না৷
তাই আহ্বান দিকে দিকে নয় আর দেরি নয়,
সময় তো নেই আর ভাই রে
জোটটাকে আমাদের বজ্রকঠিন করে
তুলে নাও হাতিয়ার ভাই রে
ছিঁড়ে ফ্যালো দৃঢ় হাতে চক্রান্তের জাল
বিভেদের কুমন্ত্রণা,
সাথীদের খুনে রাঙা পথে দ্যাখো
হায়েনার আনাগোনা...
জানি জ্বলছে জ্বলছে শত অগ্নিপাথার বুকে
চক্ষে চক্ষে জ্বলে তীব্র ঘৃণা
সাথীদের খুনে বুকে উল্কা-জ্বালার দাহ
রক্তিম শপথের ভরা চেতনা
সাথীদের খুনে রাঙা পথে দ্যাখো
হায়েনার আনাগোনা...
তাই আহ্বান
ও সাথী কিষাণ মজদুর ভাই শোন আহ্বান।
তাই আহ্বান দিকে দিকে নয় আর দেরি নয়,
সময় তো নেই আর ভাই রে
জোটটাকে আমাদের বজ্রকঠিন করে
তুলে নাও হাতিয়ার তাই রে
কালজয়ী সংগ্রাম শুরু করো বন্ধুরা
হেঁকে বলো সইব না, সইব না
সাথীদের খুনে রাঙা পথে পথে
হায়েনার আনাগোনা আর সইবো না।
সাথীদের খুনে রাঙা পথে দ্যাখো
হায়েনার আনাগোনা...
থ্যাঙ্ক ইউ, শমিক।
2 comments:
আইডিয়াটা ভালো দিয়েছেন । ছেলেকে পিংক ফ্লয়েড শোনাবো ভাবছিলাম্, তার চেয়ে "বিস্তীর্ণ দুপারে" কোনো অংশে কম হবে না ...
অসাধারন গানটা!
Post a Comment