আজ পনেরই আগস্ট। দেশ জুড়ে ধুমধামের মধ্যে মাথায় ঘোরে মৃণাল সামন্তের একটা কবিতা -
"সেদিন যখন জাতীয় পতাকায় মালা
আর গান্ধী-নেহরুর কপালে চন্দনের তিলক আঁকা হচ্ছিল,
কৃষাণী হরিদাসী তার ভগ্নকুটীরের খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি,
শতছিন্ন পোশাকে বেরিয়ে পড়েছিল পথে,
স্বাধীনতার পতাকার আড়ালে
সে এক সুখী সমাজ ও জীবন দেখতে পেয়েছিলো৷
রমজান মিঞা, উদ্দাম মেঘনায়
যে দরাজ গলায় গান গেয়ে নৌকা বাইতো,
সে সেদিন জোর করে
তার নৌকোটাকে মাঝনদীতে ডুবিয়ে দিয়েছিলো,
সে জেনেছিলো রোদ-বৃষ্টি-ঝড়কে উপেক্ষা করে
তাকে আর নৌকা ঠেলতে হবে না৷
স্বাধীন হয়ে গেল সবাই, নদী ঝাঁপিয়ে
সেও সেদিন পথের মিছিলে ছুটে এসেছিলো৷
ভুতনাথ মাহাতো, যে রাজপথে রিক্সা চালাতো,
সে সেদিন ভোরে উঠে তার গাড়ি সাজালো,
মালায়, চন্দনে আর পতাকায়৷
পথে বেরলো সে, বড় আনন্দের দিন...
হঠাৎ ভুতনাথ লাফিয়ে উঠলে, চিত্কার করে উঠলো,
বন্দে মাতরম্, বন্দে মাতরম্৷
মেঘনা নদীর সেই মাঝি আজ গান ভুলে গেছে,
উদাস নয়নে সে এখন নদীর ধারে বসে থাকে৷
হরিদাসী এখন গঞ্জের নিষিদ্ধ এলাকায় সন্ধ্যের পরে দাঁড়িয়ে থাকে
একমুঠো অন্নের আশায়৷
ভুতনাথ মাহাতো শহরের ফুটপাথে রাত কাটায়,
নি:স্তব্ধ রাত্রে তার কাশির শব্দ শোনা যায়৷
অথচ, ঠিক তেমনি করে সেদিনের মতো আজও
হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকায় ব্যয় করে
স্বাধীনতাদিবস পালিত হয়,
লালকেল্লার দুর্গ থেকে ভাষণ প্রতি ঘরে ঘরে শোনা যায়,
হরিদাসী, রমজান মিঞা, ভুতনাথ মাহাতো
চিত্কার করে বলে ওঠে -
স্বাধীনতা, তুমি কার?
স্বাধীনতা, তুমি কিসের জন্যে?"
"সেদিন যখন জাতীয় পতাকায় মালা
আর গান্ধী-নেহরুর কপালে চন্দনের তিলক আঁকা হচ্ছিল,
কৃষাণী হরিদাসী তার ভগ্নকুটীরের খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি,
শতছিন্ন পোশাকে বেরিয়ে পড়েছিল পথে,
স্বাধীনতার পতাকার আড়ালে
সে এক সুখী সমাজ ও জীবন দেখতে পেয়েছিলো৷
রমজান মিঞা, উদ্দাম মেঘনায়
যে দরাজ গলায় গান গেয়ে নৌকা বাইতো,
সে সেদিন জোর করে
তার নৌকোটাকে মাঝনদীতে ডুবিয়ে দিয়েছিলো,
সে জেনেছিলো রোদ-বৃষ্টি-ঝড়কে উপেক্ষা করে
তাকে আর নৌকা ঠেলতে হবে না৷
স্বাধীন হয়ে গেল সবাই, নদী ঝাঁপিয়ে
সেও সেদিন পথের মিছিলে ছুটে এসেছিলো৷
ভুতনাথ মাহাতো, যে রাজপথে রিক্সা চালাতো,
সে সেদিন ভোরে উঠে তার গাড়ি সাজালো,
মালায়, চন্দনে আর পতাকায়৷
পথে বেরলো সে, বড় আনন্দের দিন...
হঠাৎ ভুতনাথ লাফিয়ে উঠলে, চিত্কার করে উঠলো,
বন্দে মাতরম্, বন্দে মাতরম্৷
মেঘনা নদীর সেই মাঝি আজ গান ভুলে গেছে,
উদাস নয়নে সে এখন নদীর ধারে বসে থাকে৷
হরিদাসী এখন গঞ্জের নিষিদ্ধ এলাকায় সন্ধ্যের পরে দাঁড়িয়ে থাকে
একমুঠো অন্নের আশায়৷
ভুতনাথ মাহাতো শহরের ফুটপাথে রাত কাটায়,
নি:স্তব্ধ রাত্রে তার কাশির শব্দ শোনা যায়৷
অথচ, ঠিক তেমনি করে সেদিনের মতো আজও
হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকায় ব্যয় করে
স্বাধীনতাদিবস পালিত হয়,
লালকেল্লার দুর্গ থেকে ভাষণ প্রতি ঘরে ঘরে শোনা যায়,
হরিদাসী, রমজান মিঞা, ভুতনাথ মাহাতো
চিত্কার করে বলে ওঠে -
স্বাধীনতা, তুমি কার?
স্বাধীনতা, তুমি কিসের জন্যে?"
No comments:
Post a Comment